আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিন ব্যাপী লালমনিরহাট জেলা আঞ্চলিক ইজতেমা। মোনাজাতে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে লালমনিরহাট জেলা কালেক্ট্ররেট মাঠসহ গোটা জেলা।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় জেলা কালেক্ট্ররেট মাঠে আয়োজিত জেলা ইজতেমায় এ আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমায় দূর-দূরান্ত থেকে ইজতেমা মাঠে লাখো মুসল্লি আসলেও আখেরী মোনাজাতের জন্য এদিন সকাল হতেই ইজতেমা প্রাঙ্গনে আরও লাখো মুসুল্লি আসতে শুরু করে। সকাল ১০টার পর ইজতেমার আশপাশের স্থানগুলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এসময় অনেকেই রাস্তায়, বাড়ির ছাদে ও পাশ্ববর্তী বাড়ির আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে আখেরী মোনাজাতে অংশ গ্রহন করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইজতেমা প্রাঙ্গনে সকাল ৮টা থেকেই আখেরী মোনাজাতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দেশের বরেণ্য আলেমগণ ইজতেমায় বয়ান পেশ করেন। পরে ঢাকা কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম মওলনা জোবায়ের হাসান সাহেব দীর্ঘ সময় ইসলামি আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে সকাল ১১টায় আখেরী মোনাজাত শুরু হয়। এসময় লাখ লাখ মুসল্লির কণ্ঠে আমিন আমিন ধ্বনিতে পুরো লালমনিরহাট শহর মুখরিত হয়ে উঠে। আখেরী মোনাজাতে লালমনিরহাট জেলার সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে ইমাম মওলানা জোবায়ের হাসানের ইমামতিতেই ইজতেমা মাঠে শুক্রবার জুমা’র নামাজ আদায় করেন মসুল্লিরা।

উল্লেখ্য, ইজতেমা মাঠে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যাপ্ত পুলিশ, ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবকগণ দিন-রাত ২৪ঘন্টা সহযোগীতা করেছেন। ইজতেমায় যেন কোন রকম আইনশৃংখলা পরিস্থিতির বিঘ্ন না ঘটে এজন্য লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক নিজেই বার বার ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করেন। সফলভােেব ইজতেমা শেষ করতে পারায় লালমনিরহাট জেলা আঞ্চলিক ইজতেমা আয়োজক সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সফলভাবে পালন করেন লালমনিরহাট জেলার আঞ্চলিক ইজতেমা আয়োজক কমিটি।