গাজীপুরের শ্রীপুরে খেলার সময় সাত বছরের এক শিশুকে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের পর মাথা থেঁতলে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিবেশী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতের নাম পারভেজ (১২)। সে শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার আবদার গ্রামের কাজীম উদ্দীনের ছেলে। ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার আবদার গ্রামের ভাড়া বাড়িতে বাবা-মা এবং দু’ভাইয়ের সঙ্গে থাকতো ৭বছরের ওই শিশু। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা এলাকায়। তারা এলাকায় ঘুরে পরিত্যাক্ত মালামাল কুড়িয়ে তা বিক্রি করে সংসার চালায়। বৃহষ্পতিবার বিকেলে শিশুটি খেলা করতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী আব্দুল আউয়াল ডিগ্রী কলেজের মাঠে যায়। সন্ধ্যায় মাঠ থেকে কৌশলে শিশুটিকে ওই কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের পেছনের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যায় প্রতিবেশী বখাটে যুবক পারভেজ। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সে। এদিকে সন্ধ্যার পরও শিশুটি বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা প্রতিবেশীদের ঘরবাড়িসহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মধ্যরাতে ওই কলেজের পাশের শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী পারভেজকে আটক করে। পারভেজ রাজধানীর একটি মাদ্রাসার ছাত্র।

শ্রীপুর মডেল থানার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষনের পর মাথা থেঁতলে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও শিশুটির যোনীপথে রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে।