প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটি আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরে শুক্রবার (২৩ ফেব্র“য়ারি) বিকালে ১১টি বগি উদ্ধারের পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো.শাখাওয়াত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,ট্রেন চালকের ঘুম ঘুম ভাব ছিল। ট্রেনের গতি খুব বেশি ছিল। ট্রেনের আন্ডারগিয়ার যাকে বলে পুলিং রড ভেঙে লাইনের পয়েন্ট অ্যান্ড ক্রসিংয়ের কয়েকটি ব্লক ভেঙে গেলে ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়।বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান বাংলা বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সবকটি বগি উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করার পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, আন্ডারগিয়ার ভেঙে পড়ার কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়।এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১টি বগি মৌলভীবাজারের সাতগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাশশেরুল ইসলাম জানান, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ট্রেনটির কয়েকশ’ যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। ট্রেনটিতে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানও ছিলেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর পিএস মোবাইলে বিষয়টি জানান।এদিকে ১১টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।