দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা কমন ইল্যান্ড প্রথমবারের মতো একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। সোমবার জন্ম নেওয়া এ মাদী শাবক ও তার মা সুস্থ্য রয়েছে। নতুন জন্ম নেয়া এ শাবকটি নিয়ে পার্কে কমন ইল্যান্ডের সংখ্যা এখন ৩ টি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের বণ্যপ্রাণী পরিদর্শক সারোয়ার হোসেন খান জানান, ২০১৫সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি মাদী ও একটি পুরুষ কমন ইল্যান্ড গাজীপুরের শ্রীপুরস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়। সোমবার সকালে সাফারী পার্কের ভেতর কমন ইল্যান্ড ওই দম্পতির সংসারে এক মাদী শাবকের জন্ম হয়। নতুন জন্ম নেয়া শাবক ও তার মা সুস্থ আছে। ভ’মিষ্ট হওয়ার পরপরই শাবকটি উঠে দাঁড়াতে পারছে এবং স্বাভাবিক ভাবে তার মায়ের দুধ পান করছে। সে পার্কে বেষ্টনীর ভেতর দৌড়াদৌড়ি করছে।

সাফারী পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান. কমন ইল্যান্ড এন্টিলুপ প্রজাতির আফ্রিকান প্রাণী। এটি মূলতঃ তৃণভোজী প্রাণী। ঘাস ছাড়াও এ প্রাণী গাছের লতাপাতা ও বাকল ইত্যাদি খেয়ে থাকে। তবে প্রসবের পর মা কমন ইল্যান্ডের পুষ্টি গুণের কথা চিন্তা করে খাবারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বিকল্প খাবারও দেয়া হচ্ছে। কমন ইল্যান্ড বর্ষাকাল শেষ হলেই গর্ভধারণ করে, যার ব্যাপ্তি ৮ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত। বর্তমানে এ প্রাণীর দেখা মেলে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে এদের বিশেষ চরিত্র হচ্ছে বাচ্চা জন্ম নিয়ে এরা লুকোচুরি করে। প্রসবের পর তারা ৬-৭দিন সন্তানকে লুকিয়ে রাখে।

সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন জানান, আফ্রিকান পরিবেশে অভ্যস্ত এসব প্রাণী দেশে আনার পর এরা অনুকুল পরিবেশে মানিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে আফ্রিকান এ প্রাণীটি বাচ্চা জন্ম দেয়ায় পার্কে এর সংখ্যা দাঁড়ালো তিন-এ। ভবিষ্যতে আরো বাচ্চা আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।