মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে জাতি ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করছে। সোমবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দেশের বিভিন্ন স্থান যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

জয়পুরহাট : এ উপলক্ষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ও সকাল ৬টা ২ মিনিটে শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দানের স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাপা, সিপিবি, বাসদ, জাসদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক – সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।জয়পুরহাট স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করা হয় । পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস ইন স্কাউট, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিশু-কিশোররা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ এবং শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন। কুচকাওয়াজ এবং শরীর”র্চায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য এডভোকেট শামসুল আলম দুদু ও জেলা প্রশাসক মো. মোকাম্মেল হক।

স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, হাসপাতাল, জেলখানা ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে আয়োজিত ’ মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমি, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

লক্ষীপুর : সূর্যোদয়ের সাথে সাথে (৬টা ০১মিনিট) লক্ষ্মীপুর কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গনে ৩১ বার তোপধ্বনি মাধ্যমে দিবসের সূচনা করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজান, পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে শহরের বাগবাড়ীস্থ গণকবরে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাযাত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বিভিন্ন বিভাগ সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও ডিসেপ্লে প্রদর্শন। বেলা ১১ টা জেলা প্রশাসক কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবকে সংবর্ধনা প্রদান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি” বিষয়ে আলোচনা। হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, শিশু-কিশোর ও মহিলাদের খেলাধূলা, জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন।

চুয়াডাঙ্গা : সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক জিয়্উাদ্দীন আহম্মেদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সালাম ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এর আগে সকালে চুয়াডাঙ্গা-১আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি শহীদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

নোয়াখালী : জেলা শহর মাইজদীতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো: মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো: ইলিয়াছ শরীফ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক মীর মোশাররফ হোসেন মিরন, মেসবাহ্ উল হক মিঠু, সামছুল হাসান মিরন, আবু নাছের মঞ্জু, আকবর হোসেন সোহাগসহ সাংবাদিকবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, ছাত্রলীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জেলা পরিষদ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল, নার্সিংট্রেনিং ইনিস্টিটিউটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

সকাল আটটায় জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ, আসনার, বিএনসিসি, স্কাউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন।এরপর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল উপজেলায় যর্থাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়।

পটুয়াখালী : শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্মৃতিসৌধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, প্রেসক্লাব, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে আবুল কাশেম স্টেডিয়ামে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত শেষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার মঈনুল হাসান সহ জেলার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জেলা পুলিশ, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় সংগীত ও কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্দ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে ।

শরীয়তপুর : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসুচী শুরু হয়। এর পর জেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রথমে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদীতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এ ছাড়াও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, গণকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রীতি ফুলবল প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। শরীয়তপুর পুলিস লাইন্স এ দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহসান শাহ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার, পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম।

দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।

হাসপাতাল, শিশু পরিবার, জেলখানা ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনাগারে দেশ জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
নড়াইল : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ ও গণকবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, গণকবরে পুস্পমাল্য অর্পন, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচছা প্রদান, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান, বিশেষ মোনাজাত, মহিলাদের সৌখিন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ষ্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইল : ভোরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শহীদ স্মৃতি স্তম্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ কুচকাওয়াচ ও শরীর চর্চা প্রর্দশন করা হয়।

এতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন। পরে কুচকাওয়াচে জেলা পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমীতে দিনব্যাপী ম্ুিক্তযোদ্ধাদের বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবস্থিত মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ও অতিরিক্ত ডিআইজি সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীরের (পিপিএম) নেতৃত্বে স্থানীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর আগে পুলিশ সদস্যদের একটি আনন্দ র‌্যালির আয়োজন করা হয়। উক্ত র‌্যালিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ রাজীবুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা তারেক আহমেদ বেগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ (ট্রেনিং) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (প্রশাসন)সহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা ভাষ্কর্য প্রত্যয়, ৭১-এর পাদদেশে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলাউদ্দিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, হল, বিভাগ, মাওলানা ভাসানী রিসার্স সেন্টার, আইসিটি সেল, আইকিউএসি, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ফোরাম, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ভাসানী পরিষদ, মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিন, প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলাম, লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. এ.এস.এম. সাইফুল্লাহ, সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. পিনাকী দে, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. ইকবাল মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. তৌহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপ¯ি’ত ছিলেন।

কুষ্টিয়া : শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক ডিসি কোর্ট চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পৌর গোরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।সকাল ৮টায় কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহনে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, পুলিশ সুপার এস, এম মেহেদী হাসানসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এসব কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট : সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোর ৫ টা ৫১ মিনিটে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। শহীদদের স্মরণে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে।সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। একইসঙ্গে শহীদ মিনারে আসা মানুষের মুখে ছিল যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

প্রথমে শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। পরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, সিলেট জেলা প্রশাসক (ডিসি), জেলা পরিষদ প্রশাসক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, সিলেট শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, আর আর এফ কমান্ড্যান্ট, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ, আনসার ভিডিপি, বন কর্মকর্তা, সিলেট চেম্বার প্রশাসক, সিলেট প্রেসক্লাব, জেলা প্রেসক্লাবের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এছাড়া শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাসদ, বাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, জনতা পার্টি, মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিভিল সার্জন সিলেট, সিলেট চেম্বার, সিলেট জেলা বার এসোসিয়েশন, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। দুপুরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ক্ষুদে শিশুরাও ফুল হাতে এসেছিল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

বগুড়া : জেলার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ করা হয়। এর আগে জিলা স্কুলে তোপধনি করা হয়। বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার খোকনপার্কে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আওয়োজন করা হয়। সকাল সোয়া ৮টায় স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালিসহ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মমতাজ উদ্দিন। এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সকাল ৮টায় সারাদেশের ন্যায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। বগুড়া প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর। বেলা ১২টায় বগুড়া শহরের মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম দুলাল অডিটরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মমতাজ উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কম্ন্ডাার রুহুল আমিন বাবলু, সদর কমান্ডার আব্দুল কাদের। সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত বর্ণিল সাজে আলোকসজ্জাকরণ করা হয়েছে।

মাগুরা : সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে জেলা প্রশাসক অতিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার খান মোঃ রেজাওয়ান আহম্মেদসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অপর্ন করেন। পরে শহরে বের করা হয় স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালি। র‌্যালি শেষে সকাল ৮ টায় শহরের আসাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও একই সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ ও শরীরচচর্চা প্রদর্শনী। শরীরচচর্চা প্রদর্শী ও কুজকাওয়াজে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।কুড়িগ্রাম : এবারের স্বাধীনতা দিবসে কুড়িগ্রামে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মোছা. সুলতানা পারভীন ও জেলা প্রশাসক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জাফর আলী।

জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একযোগে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশু একাডেমীর উদ্যোগে চিত্রাঙ্কণ, আবৃত্তি, কুইজ ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোহিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফেনী: ফেনীতে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধাঞ্জলী। সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির পর জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ফেনী প্রেস ক্লাব, ফেনী ফটো জার্নালিষ্টস্ এসোসিয়েশন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আইনজীবি সমিতি, ডায়াবেটিক সমিতি, শিক্ষক সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, প্রথম আলো বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করে।

অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- ভাষা শহীদ সালাম ষ্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, মহিলাদের অংশগ্রহনে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধদের সংবর্ধনা, দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু সদন ও শিশু পরিবারে উন্নত খাবার পরিবেশন, সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।হিলি :মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষ্যে হিলি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ’কে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। পাশাপাশি বিজিবি’কেও শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিএসএফ।সোমবার সকাল ১০ টার দিকে হিলি সীমান্তের শুন্যরেখায় হিলি চেকপোষ্ট বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু নাছের ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার ইন্সপেক্টর হ্যাপনি কাথী এর হাতে মিষ্টি উপহার তুলে দেন। বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু নাছের জানান, উভয় সীমান্ত রক্ষীদের মাঝে সৌহাদ্য ও ভাব-সম্প্রতি বজায় রাখতে বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবগুলিতে মিষ্টি ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে থাকে।

মুন্সীগঞ্জ:গৌরব দীপ্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহউদ্দীপনায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার উপজেলা মাঠে দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় পতকা উত্তোলন ও সালাম গ্রহন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। এর আগে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনিরমাধ্যমে সূচনা ও উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনাওে পুস্পস্তবক অর্পণ করাহয়। উপজেলানির্বাহী অফিসার তানবীর মোহাম্মদ আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদেও মধ্যেউপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো.সামসুলহক,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা ইয়াসমিন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম সোহরাব হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক থানা কমান্ডার আব্দুল মতিন হাওলাদার, সিরাজদিখান অফির্সা ইন-চার্জ মো. আবুলকালাম প্রমুখ। এ সময়বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও শিক্ষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কুচ কাওয়াজে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় অংশ গ্রহণকরেন। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড একাদশ ও উপজেলা প্রশাসন একাদশ প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগি তায়অংশ গ্রহণকরেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য দের সংবর্ধনা প্রদানকরা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চেরভাষণের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।