পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সদরুল আলম পিন্টুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কস্মতাশীন দরের ১৩ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত পিন্টুর বাবা আব্দুল আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে রূপপুর আনবিক প্রকল্প এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দীন জানান, মামলায় ছাত্রলীগের নেতা সৌরভ হাসান ওরফে হাতকাটা টুনটুনিকে প্রধান আসামী করে ৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ৫ জনসহ ১৪ জনকে আসামী করে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকাবাসীরা জানান, আসামীদের বাড়ি-ঘর তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে এবং বাড়ির লোকজন সকলেই পালিয়েছে। সহিংসতা এড়াতে হাতকাটা টুনটুনির বাড়িতে পুলিশী পাহাড়া বসানো হয়েছে।

ব্যস্ততম রূপপুরে থমথমে অবস্থাঃ
এদিকে সরকার দলীয় প্রতিপক্ষের দলের সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ সভাপতি পিন্টু নিহত হওয়ার পর রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকাসহ পাকশীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা দেশের সর্ববৃহত প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকাটি হঠাৎ সুনসান হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার সরজমিনে রূপপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাকশী, বিবিসি বাজার ও ব্যস্ততম রূপপুর পাকারমোড়সহ আশপাশের এলাকার বেশীর ভাগ দোকানপাট বন্ধ। গুটি কয়েক দোকান খোলা থাকলেও শার্টার অর্ধেক নামানো। আতঙ্কিত রূপপুর-পাকশীবাসীর অনেকেই বাড়ির ভেতরে অবস্থান করছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিনসিটির সামনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে ও গাড়ি তল্লাশির পর ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় অভ্যন্তরীন কন্দোলের জের ধরে পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সদরুল আলম পিন্টুকে একই দলের প্রতিপক্ষরা গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করে। সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে মারা যায়।