জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বর্তমান সরকার সমুদ্র বিজয় করেছে, মহাকাশও বিজয় করেছে, কিন্তু দেশের মানুষের হৃদয় জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছে জাতীয় পার্টি। শত অত্যাচার আর নিপীড়নের পরও শুধু মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছে জাতীয় পার্টি। তাই প্রতিদিনই দলে দলে মানুষ জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। শনিবার (১২ মে) দুপুরে গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শতাধিক নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম আমিনুল ইসলাম পিন্টু, জাতীয় পার্টির (জেপি) যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুর রহমান লিপটন ও প্রকৌশলী মহিউল ইসলাম।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জাতীয় পার্টির সরকার রোহিঙ্গাদের সব দায়িত্ব নেবে। বর্তমান সরকারকে রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের আহবানও জানান তিনি।এরশাদ বলেন, দেশের মানুষকে আর বোঝাতে হবে না, তারা বুঝে গেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দিয়ে দেশের দুর্নীতি, দুঃশাসন, দলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাবে না। মানুষ বুঝেছে এখন পরিবর্তন আনতে হবে এবং তা জাতীয় পার্টির পক্ষেই সম্ভব। সাধারণ মানুষের মাঝে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। তাই বিভিন্ন দলের নেতাকমীরা এখন প্রতিদিনই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন। আগামী নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আরও অনেকেই যোগ দেবেন জাতীয় পার্টিতে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। ঘরে থাকলে খুন আর ধর্ষণ, আর রাস্তায় বের হলেই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। দেশে সুশাসনের অভাব, কেবল জাতীয় পার্টিই দেশের মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ। নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে হবে, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিই বিজয়ী হবে। তিনি ৩০০ আসনেই নির্বাচনে প্রস্তুতির কথা বলেন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এসএম ফয়সাল চিশতী, আজম খান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মেজর খালেদ আখতার, ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, আমানত হোসেন আমানত প্রমুখ।