কক্সবাজারে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বলছে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরে অন্তর্কোন্দলের জেরে ২ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২৬ মে) গভীর রাত থেকে রোববার (২৭ মে) ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার
র‌্যাব-৭ জানায়, শনিবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের নোয়াখালীপাড়া এলাকায় একদল ব্যবসায়ী মাদক কেনাবেচা করছে এমন খবরে অভিযান চালায় র‌্যাব-৭। এ সময় র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ২টি অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় একদল ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বেচাকেনা করছে এমন খবরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে হালিম মণ্ডল নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের বড়দাহ জামতলা এলাকায় অন্তকোর্ন্দলের জের ধরে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে লিটন হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের বলাশপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছে এমন খবরে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।