রাজধানীতে গ্রেফতারকৃত জাহিদুল আলম কাদির অস্ত্র সংগ্রহের পাশাপাশি কন্ট্রাক্ট কিলিং মিশনেও অংশ নিতো বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন বলেন, ‘চিকিৎসা পেশার অন্তরালে জাহিদুল বিভিন্ন উৎস থেকে অবৈধভাবে বিদেশি অস্ত্র সংগ্রহ করে তা উচ্চমূল্যে বিক্রি করতো। সে অস্ত্র সংগ্রহের পাশাপাশি কিলিং মিশনেও অংশ নিতো। এক লন্ডন প্রবাসীর কাছ থেকে সিলেট অঞ্চলের একজন সংসদ সদস্যকে হত্যার কন্ট্রাক্টও পায় জাহিদুল।

তিনি আরও বলেন, জাহিদুল ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে ২০০২ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে পাস করে। এরপর সে কোনও সরকারি চাকরির চেষ্টা না করে ১ মাস দুই মাস করে মফস্বলের ক্লিনিকে কাজ করে এবং পাশাপাশি অস্ত্রের সংগ্রহ ও বেচাকেনা করতো।এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ভোরে সিটিটিসি’র বিশেষ অভিযানে ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৬২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।গত ১৫ মে জড়িত আসামি ডা. মো. জাহিদুল আলম কাদিরকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ২টি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। অস্ত্র মামলায় তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩ জুন গাবতলী থেকে তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারকে ১টি বিদেশি অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করে সিটিটিসি ইউনিট। আসামি মাসুমা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার স্বামী জাহিদুলের কাছ থেকে আরও অবৈধ বিদেশি অস্ত্র মজুতের তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে জাহিদুলকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে ময়মনসিংহ জেলার বাগমারার একটি ফ্ল্যাট থেকে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ হাজর ৬২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।