বিরতির পর দারুণ পারফরম্যান্স করে মিশরকে ৩-১ গোলে হারাল তারা। এতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল স্বাগতিকরা। বিশ্বকাপে ফিট মোহাম্মদ সালাহ। তার একাদশে আসার খবরে বেশ নড়েচড়ে বসেছিল মিশর। প্রথমার্ধে গোলমুখে তাদের বেশ কয়েকটি চেষ্টা নজর কেড়েছিল। শুরুর ৪৫ মিনিট ম্যাচ ছিল তাদের হাতে। যদিও গোলের দেখা পায়নি কোনও দল।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় পুরো ম্যাচের চিত্র। ৪৭ মিনিটে জবনিনের দুর্বল শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান আহমেদ ফাথি। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়া রাশিয়াকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামকে উল্লসে মাতায় স্বাগতিকরা। বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে ফের্নান্দেসের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে চেরিশেভ দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। সৌদি আরবের বিপক্ষে জোড়া গোল করা এই রুশ ফরোয়ার্ড টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করেন ৫৯ মিনিটে। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকবার লক্ষ্যভেদ করে রাশিয়া। ৬২ মিনিটে জিউবা টুর্নামেন্টে তার দ্বিতীয় গোল করেন। কুতেপোভের পাস মিশরীয় ডিফেন্ডার ঠেকালেও বল রাখতে পারেননি। জিউবা দ্রুত গতিতে মিশরের জালে বল জড়ান।

৭৩ মিনিটে একটি গোল শোধ করে মিশর। প্রতিপক্ষের ডিবক্সের মাথায় ফাউলের শিকার হন সালাহ। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি সালাহ। কিন্তু শেষ ১৭ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি মিশরের এই ‘মহাতারকা’।