তিন সিটিতে গ্রেপ্তার ও ভয়-ভীতি দেখানো সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত নয়Ñএমন অভিমত প্রকাশ করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আবারো অভিযোগ করেন, তিন সিটিতে পুলিশকে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ক্ষমতাসীনরা দলের প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলেনে এসব কথা বলেন তিনি।রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের একদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এতো অনিয়ম-ভয় ভীতির পরেও বিএনপি নির্বাচনের মাঠে থাকবে।রিজভী বলেন, তিন সিটি নির্বচনে সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরো আর গ্রেপ্তার করো এই নীতি অব্যাহত রেখেছে।

সরকারের হুকুমে চলছে নির্বাচন কমিশনÑএতো অনিয়মেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই– একথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নূন্যতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন সিটিতেই বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। ঢাকা: তিন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলে অভিয়োগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় আসামি করা, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।রিজভী বলেন, সিলেটে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ৮০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।এখানে ক্ষমতাসীন দল পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, ধাওয়া, বাধা ও হুমকি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী যেন ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। সেখানে নৌকা মার্কার অনুকূলে একতরফা ভোট করার জন্য পুলিশ ও প্রশাসন যৌথভাবে বিবেকশূন্য অনাচারে লিপ্ত রয়েছে। আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডারদেরই সেখানে জয়জয়কার। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সাধারণ ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেখানে রাজত্ব কায়েম করেছে।বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীতে সিটি নির্বাচনের আগে অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।রিজভী বলেন, তিন সিটি করপোরেশনেই ভোটাররা অন্ধকার পরিবেশের মধ্যে সময় পার করছেন। ক্ষমতাসীন দল পুলিশের সহায়তায় ভোটার শূন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে নানা ফন্দি এঁটে চলেছে। আওয়ামী লীগ সকল আইনি বাধ্যবাধকতাকে অতিক্রম করে এক বেপরোয়া দুঃশাসন চালু করার জন্য নির্বাচন, ভোট ও মানুষের ভোটাধিকারকে বিসর্জন দিয়েছে।বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকার ভোট ও নির্বাচনের মুখোশ পরে মূলতঃ একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বাকশালকে প্রতিষ্ঠা করছে। পঁচাত্তরের একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার গ্লানি আওয়ামী লীগ মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। এখন সেই বাকশালকে গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে বাস্তবায়ন করতে চাইছে সরকার। এ সময় বিএনপির গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী।

রিজভী বলেন, বরিশাল এখন আওয়ামী ক্যাডারদের দখলে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে বহিরাগত ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডার বিভিন্ন গ্র“পে ভাগ হয়ে গোটা সিটি এলাকায় তা-ব চালাচ্ছে। পুলিশ-র‌্যাব এর ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে।তিনি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।