চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় ভাঙচুরের পর এবার জেলার চন্দনাইশ থানায় প্রবেশ করে আক্রমণ চালিয়েছন চট্টগ্রাম মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মশিয়ার রহমান। শুক্রবার বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এএসপি মশিয়ার রহমান। টোল প্লাজার ঘটনার পর কক্সবাজার যাওয়ার পথে হঠাৎ চন্দনাইশ থানায় প্রবেশ করেন। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। এসময় সবাইকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।

এরপর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনার নির্দেশে তাকে নিরস্ত্র করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে তাকে নগরীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওয়াশ করানো হয়। এখন তিনি ওই হাসপাতালেই রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, টোল প্লাজা প্রতিষ্ঠানটি এএসপি মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে নগরীর কর্ণফুলী থানার শাহ আমানত সেতু’র টোল প্লাজায় ভাঙচুর ও টোল উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে লাঠিপেটা করেন এএসপি মশিয়ার। এতে মারাত্বকভাবে আহত হন টোলপ্লাজার সিনিয়র কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার সাদ্দাম হোসেন, টোল সংগ্রহকারী ফয়সাল, সোহাগ, নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানা এবং কামাল।