সড়কে কোনো অন্যায় ও অনিয়ম করলে শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় রমিজউদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাসচালকদের ক্ষমা করা যায় না। আমরা তাদের কখনও ক্ষমা করব না। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’ আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে আন্ডারপাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সবসময়ই ড্রাইভারদের ট্রেনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। কিন্তু তারপরও দুঃখজনক যে, কোনো কোনো ড্রাইভার ভালোভাবে ট্রেনিং করে না। আবার কখনও কখনও তারা হেলপারদের হাতে গাড়ি ছেড়ে দেয়। যার জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।’

সড়কে ওভারটেকিং বা কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা যাবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্যামেরা ফিট করে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে যেখানে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে ফুটওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস করে দিতে হবে। সেখানে যেন পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা থাকে তা দেখতে হবে। এ ছাড়া সেখানে সিসি ক্যামেরাগুলো যাতে একটু সুরক্ষিত এবং গোপনে থাকে তাও খেয়াল রাখতে হবে যেন যারা পারাপার করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে।’

বাস ড্রাইভারদের লাইন দিয়ে বাস চালাতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ওভারটেক করতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা পুলিশের একটি দায়িত্ব। এ সময় পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্যামেরা লাগিয়ে ভালোভাবে নজর রাখতে হবে, যাতে কেউ কোনো রকম অনিয়ম করছে কিনা তা সহজে ধরা যায়।

শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুশিক্ষিত জাতি ছাড়া দেশ উন্নতি করতে পারে না। এ জন্য আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। একটি ছেলেমেয়েও যেন বিদ্যালয়ের বাইরে না থাকে সেদিকে নজর দিচ্ছি। তাই আমরা বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মেয়েদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রাইম মিনিস্টার সহায়তা ট্রাস্ট করে দিয়েছি।’

শিক্ষাকে বহুমুখী করে দিতে চান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুধু দেশে নয়, বিদেশের কর্মস্থলেও যাতে সুযোগ পায় সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিচ্ছি। ভোকেশনাল শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা শিক্ষা নীতিমালাও নিয়েছি।’ নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক ছিল। আমরা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়ে সে আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সে চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে।’