নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় বাসের সহকারী আব্দুস সালাম কমলকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। এ ছাড়া বাসটির মালিক মনজু সরকারকে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ রোববার বিকেলে বগুড়ার মহাস্থান পলাশবাড়ী এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে কমলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাসের চালক পলাতক রয়েছেন। কমল বগুড়া সদরের গোকুল এলাকার বাসিন্দা। তিনি পলাশবাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আমরাফ ভূঁইয়া বাসের সহকারীকে গ্রেপ্তার ও মালিককে জিঞ্জাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে নাটোরে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া হেলপার কমলকে নাটোর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর বাস মালিককে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস অপর দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী লেগুনাকে চাপা দিলে ১৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন আরও ২০ জন।  ঘটনায় আজ দুপুরে নাটোরের লালপুর থানায় বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই মামলায় নিহত লেগুনাচালক এবং লেগুনা ও বাসের সহকারীকে আসামি করা হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি একজন পুরুষের পরিচয় না পাওয়ায় তার লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।