বিএনপি-জামায়াত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮ আগস্ট, মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে আসন্ন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই হামলা হয়েছিল। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলার ঘটনার ঘটতে পারে না। প্রধান বিরোধী দলের সন্ত্রাসবিরোধী একটি সভায় প্রকাশ্য দিবালোকে যে এ ধরনের গ্রেনেড হামলা হতে পারে, তার নজির বিশ্বে সম্ভবত আর কোথাও নেই।’

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাই নয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, অস্ত্র চোরাচালানসহ বহু ঘটনাই সে সময় ঘটেছে। কি হিন্দু, কি খ্রিস্টান, কি মুসলিম, কি বৌদ্ধ—কোনো ধর্মের মানুষই তাদের সন্ত্রাস থেকে রেহাই পায়নি।’

এদেশে আর কেউ যেন কোনো দিন সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমরা সে অবস্থা থেকে দেশকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছি যেখানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে তাদের ধর্ম কর্ম করতে পারছে। আমরা এমন একটা অবস্থায় দেশকে আনতে পেরেছি যেখানে প্রতিটি উৎসবই আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে। কারণ আমাদেরও শ্লোগান ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’

তার সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমঅধিকারে বিশ্বাসী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও নিজেদের অধিকার নিয়ে চলবেন, কারণ এই দেশটা আপনাদেরও। স্বাধীনতারও মূল লক্ষ্য ছিল সকল ধর্মের মানুষ এদেশে তার সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে। এ জন্যই জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলে রক্ত দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের স্বাধীনতা এনেছিল।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিলন কান্তি দত্ত, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন পাল, বিমল কান্তি দে, মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দে, দেবাশিষ পালিত ও সুব্রত পাল।