জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩ তম শাহদাত বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোকদিবস এর মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আজ ২৮ আগস্ট, রোজ মঙ্গলবার, সকাল ১০.০০ টায় ঢাকা মহানগর নাট্ট্যমঞ্চ, গুলিস্থান (কাজী বশির উদ্দিন মিলনায়তন) এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গন-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী জননেতা জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, গণমাধ্যম ও সুশীল ছদ্মবেশী শত্রুরা সরকারের বিরুদ্ধে বেশি সক্রিয় আমাদের ছদ্মবেশী শত্রু রয়েছে, বিএনপি-জামায়াত নয়, ছদ্মবেশী শত্রুরাই বেশি সক্রিয়। এরাই গুজব সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তারা সুশীলে আছে, গণমাধ্যমে আছে। গণমাধ্যমের একটি অপপ্রচার করছে। আপনি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য সারা দুনিয়ায় প্রচার করেছেন। জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বানানোর জন্য সব ধরণের চেষ্টা করেনছেন, নিরহ শিশুদের যুক্তি সঙ্গত সামাজিক আন্দোলনকে নিয়ে ছদ্মবেশী কুচক্রিদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বললেন বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে, যেখানে কোন হতাহতই হয়নি। এ অপপ্রচার নোবেল বিজয়ীদের পর্যন্ত বিবৃতি দিতে প্রলুব্ধ করেছে। এ কুচক্রি মহলের কতটা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রয়েছে সেটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। ২১ আগস্টের বিচার চেয়ে বিএনপি নিষ্ঠুর রসিকতা করছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ আগস্টের খুনিদের পৃষ্ঠপোষকরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চায়। বিএনপি নেতারা ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার চান। ইতিহাসের নৃশংস বর্বোচিত হত্যাকান্ডের প্রতি নিষ্ঠুর রসিকতা। ধিক্কার জানাই এ রাজনীতিকে, ধিক্কার জানাই এ নোংরা রাজনীতিকে। এরা খুন করে খুনের বিচার চাইতে পারে, দুর্নীতি করে দুর্নীতির বিচার চাইতে পারে, দন্ডিত হয়েও নিরাপদ বলে নিজেদের জাহির করতে পারে।

“ বিএনপি এখন ক্ষমতা চায় না, কারণ তাঁরা জানে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই চক্রান্তের চোরাগলি বাচাই করেছে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শেখ হাসিনাকে হঠানোর ষড়যন্ত্র করছে। যুবলীগসহ দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- নতুন সাজে নতুন আঙ্গিকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে শয়তানের দল তারা ভুল করলেও ক্ষমা চায়না। বিএনপিকে দিয়ে আন্দোলন হবে না। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে গুজব ছড়িয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকান্ডের যে চক্রান্ত তা এখনও শেষ হয়নি। এই চক্রান্ত চলছে। জনগণের ক্ষমতায়নই পারে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। জনগণের সম্মিলিত শক্তি অজেয়। তিনি আরো বলেন ৭৫ এর ১৫ আগস্টের চক্রান্ত ছিলো জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিলীন করা। বাংলাদেশকে আরেকটা পাকিস্তান বানানো। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যদি ১৯৮১ সালে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে না আসতেন, তাহলে আজ হয় তো এদেশই থাকতো না। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার বিশ্বশান্তির দর্শন “জনগণের ক্ষমতায়ন” এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্রবির্নিমান করছেন। বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যে ১৯৭১ এবং ১৯৭৫ এর পরাজিত শক্তি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিশ্চয়ই এদেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্রও রুখে দেবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ড. আহম্মেদ আল কবির, মো: ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো: আতাউর রহমান, এড. বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, এড. মোতাহার হোসেন সাজু, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদাক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, জাকিয়া সুলতানা শেফালী, নির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানা, এন আই আহম্মেদ সৈকত, সদস্য রেকায়েত আলী খান নিয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, দক্ষিন সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাফর আহম্মেদ রানা প্রমূখ।