গাজীপুরে তিনটি বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরনের মাধ্যমে কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাঁর কার্যালয়ে গাজীপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পুলিশ সুপার বলেন, তিনটি বিষয়ে জিরো টলারেন্সে নীতি অনুসরণ করা হবে। এগুলো হলো- মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে। তবে মাদকসেবীদের জন্য সচেতনতা কর্মসুচী গ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয়ত, নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ করে উত্যক্ত, বাল্য বিয়ে, যৌতুক, হত্যা প্রভৃতি ষ্পর্শকাতর বিষয়। তৃতীয়ত, সন্ত্রাস।
এসপি বলেন, বিগত দিনের ভাল কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সর্বোচ্চ শক্তি ও আন্তরিকতা দিয়ে গাজীপুরে জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রম চালানো হবে। এ ক্ষেত্রে জনসাধারণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দেয়া হবে। মুখে নয় বাস্তবে এবং মঙ্গলবার থেকেই এ কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, জেলা পুলিশের দ্বারা কোনো মানুষের হয়রানির খবর পাওয়া গেলে সেই পুলিশের সেই সদস্যকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনার উল্লেখ করেন। এমনকি ওই কর্মকর্তার ব্যাপারে প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। অন্যদিকে, পুলিশের কোনো সদস্য বা পরিবারের কেউ কারো দ্বারা হামলা বা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলেও ওই ব্যাক্তিকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতেরও প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
সাংবাদিকেরা তাদের বক্তব্যের সময় গত চার বছরে গাজীপুর জেলায় পুলিশের কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন। তারা গাজীপুরে সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপারের কাছে নানামুখী প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
এসবের জবাবে এসপি বলেন, পুলিশি কার্যক্রমে আর্থিক লেনদেনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আমি জনগণের কামলা হিসেবে গাজীপুরে কাজ করতে চাই। পুলিশের মতো দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদেরও পাশে চাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখের সঞ্চালনায় সাক্ষাতপর্বে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, আমিনুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকারসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রায় ৭০ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
