রংপুরে তিস্তা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর ওপর নতুন দুটি সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবন রথকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু এবং রশখ হাসিনা তিতাস সেতুর’ উদ্বোধন করেন তিনি।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গঙ্গাচড়ায় সেতু নির্মাণের ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়ার সঙ্গে লালমনিরহাটের যোগাযোগ সহজ হবে।আর ‘ওয়াই আকৃতিতে’ নির্মিত বাঞ্ছারামপুরের সেতুটি ওই এলাকার সঙ্গে হোমনা ও মুরাদপুরের যোগাযোগের পথ সুগম করবে। সেই সঙ্গে বাঞ্ছারামপুরের সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যোগাযোগ তৈরি হবে।

কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলাকে যুক্ত করে তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম এই ‘ওয়াই’ আকৃতির এ সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৭১ মিটার।৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণের ফলে ওই তিন উপজেলার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ উপকৃত হবে বলে সরকারের ভাষ্য।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন উপজেলার সবাই সেতু চায়। তখন তাদের নিয়ে বসি আমি। পরে এমন ডিজাইন করা হয় যাতে সবার সুবিধা হয়। নতুন ডিজাইনে ওয়াই আকৃতির সেতু হল, সব এলাকার মানুষ এখন সুবিধা পাবে।বিভিন্ন বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দেশে সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সারাদেশে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করে দিচ্ছি। মানুষের যাতায়াত সহজ হচ্ছে। এর মধ্যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।রংপুরের গঙ্গাচড়ায় লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নে মহিপুর-কাকিনা রুটে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় সেতুটির দৈর্ঘ্য ৮৫০ মিটার। সেতুটি উদ্বোধনের আগেই গত বৃহস্পতিবার সংযোগ সড়কে ধস নামে। এর কারণ হিসেবে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কথা বলেছেন প্রকৌশলীরা। সড়কে ধসে পড়া অংশের মেরামতের মধ্যেই সেতুটির উদ্বোধন হল রবিবার।