আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য শপথ নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০ জেলার ৪০০ রাজনীতিক। শান্তিপূর্ণ ও অহিংস ভোট আয়োজনে কেন্দ্র ও তৃণমূলের এ রাজনীতিকরা একই মঞ্চে শিশুদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শান্তির জন্য অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত শান্তিতে বিজয়’ ক্যাম্পইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ শপথ নেন রাজনীতিকরা। ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইড’র অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্পের আওতায় ‘শান্তি জিতলে জিতবে দেশ’ স্লোগানের এ ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ব্রিটেনের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও সহনশীল রাজনীতির চর্চা বাড়াতে দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং সাধারণ জনগণকে সচেতন করা ও তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা।
শপথের আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এইচ টি ইমাম বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আমরা অনেক সংস্কার করেছি। সাদাকালো পোস্টার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ভোটার তালিকা করেছি। আওয়ামী লীগ সবসময় আক্রান্ত হয়েছে। কাউকে আক্রমণ করেনি। আশা করি আগামীতে একটা অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবো।

ড. মইন খান বলেন, বিএনপি সবসময় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দাবি করে আসছে। তার আগে আমাদের দরকার রাজনৈতিক পরিবেশ । পরে এইচটি ইমাম ও মইন খান হাত মেলান। এরপর জেলা-উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা এক সারিতে বসেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে থাকা বাংলাদেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বার্নিকাট বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী ও সমর্থকদের অবশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা, প্রচারণা চালানো, ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়াই সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচনের আগে, নির্বাচন চলাকালে এবং নির্বাচনের পরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অহিংস আচরণের আহ্বান জানাতে হবে।একই ধরনের মত প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্লেক বলেন, শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করি। আজকে আমরা সবাই শান্তির জন্য প্রতিশ্র“তিবদ্ধ হই।