গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তার ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এসব গাছের আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। গাছ কাটতে গিয়ে রাস্তার উভয় পাশের আমন ধানের ক্ষেতও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের রাস্তার চৌহুদপুর ও পজয়পুর গ্রামের সাড়ে চার কিলোমিটার অংশ জুড়ে রাস্তার দুপাশের গাছ কেটে নেয়া হচ্ছে। সামাজিক বনায়নের সমিতির আওতায় রোপণ করা এসব গাছ টেন্ডার ছাড়াই ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুল ও সমিতির সভাপতি আব্দুল করিমের সাথে সমঝোতা করে কাটা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তারা আরও অভিযোগ করেন তড়িঘড়ি করে শুধু দিনে নয়, রাতেও গাছ কেটে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গাছ কাটার সময় রাস্তার দুপাশের জমিতে তা পড়ে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গাছ ক্রেতা কাইয়ারগঞ্জ এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী রানু মিয়া জানান, তিনি প্রায় দুবছর আগে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ৮০৩টি গাছ কিনে নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ ও সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি আব্দুল করিমের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে তাদের কাছ থেকে এসব গাছ ক্রয় করেন। গত তিন মাস আগে তিনি গাছ কাটা শুরু করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ চেয়ারম্যান গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে তিনি বাকি গাছগুলো কেটে নিচ্ছেন।সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপকারভোগী হিসেবে আমরা গাছগুলো ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুলের মাধ্যমে কাঠ ব্যবসায়ী রানু মিয়ার কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে গাছের সংখ্যা কতো, তিনি তা বলতে পারেননি। তার সাফ জবাব ‘ আমি আর কিছু জানি না, সব জানে চেয়ারম্যান বুলবুল’। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুলের ০১৭১১-৩৪৪৫১১ নম্বর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।