গুহালিপি
১।

পেরেকের মতো গাঁথা এই জীবন
এই জন্ম-দেওয়ালের ঈশ্বর আসলে আমারই রক্ত – মাংস – হাড়
দেওয়াল জানে না আমার এই জ্বরের উপশম
গেঁথে যাওয়ার গল্প শোনাতে চাইছি না
বরং বলছি দেওয়াল জুড়ে লেখো নিজের খিঁচুনি, নিজের রক্তসঞ্চালন

নিজের দানাপানি আগলে নিজেরই দীর্ঘছায়ার ভেতর
বাকি থাকা আফসোস

২।

ঝগড়া জিইয়ে রেখে দেখলে শস্যক্ষেতে জল কমে গেছে
ঝগড়া জিইয়ে রেখে ভাবলে আমাদের উৎসবের দিনে
ঈশ্বর এসে পাত পেড়ে মাংস-ভাত খাবেন
এইসব কিছুই হল না যখন
খুলে দিলে মমিঘর
আমার নৈবেদ্যে বিষাদ কিছু কম ছিল না প্রভু

তিক্ততায় লবণ নয় আমি একেকদিন চিনি মিশিয়ে দেখেছি
সরলরেখা আসলে একটি স্বাস্থ্যকর অভিসার
টেনে না নিলে আজীবন চলতেই থাকে

৩ ।

আমাদের সম্পর্ক এখন শীতের রুখামাটি, শীতের পুরুলিয়া
শুনশান চাদরে শুয়ে থাকা অস্পষ্ট চাঁদ
নিজের সম্পর্কে নিজের কথা নয় ব্যাধের প্রার্থনায় বিন্দু বিন্দু জমে ওঠা ঘাম
হাওয়া এখন একটু এদিক সেদিক ঘুরছে
চারপাশের লোকজনেরা কে কী বলছে শুনছি
কিছু বলতে চাইছি পারছি না
ম ম করছে আমার ডালভাতের জীবন
চিত্রনাট্য শোনার পর চরিত্র নিয়ে কি আর কৌতুহল থাকে
সময়ের মাদুর পেতে হরিনাম শোনা ছাড়া আর কোন উপুড় করা রঙ নেই
শুধু নিঃশ্বাস টুকু পড়ে আছে

বিশ্বজিৎ লায়েক