ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০১৮ এর আওতায় ৭-২৮ অক্টোবর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।এ সময় উপকূল চিহ্নিত সাত হাজার বর্গ কিলোমিটার ইলিশ প্রধান প্রজনন ক্ষেত্রসহ দেশব্যপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় সম্পূণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।এ কার্যক্রম সফল করতে দেশের ৩৭ জেলার নদ-নদী, হাট-বাজার এবং মৎস্য আড়তে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।

বুধবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্র সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক প্রমুখ।

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দি পয়েন্ট, ভোলার তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গন্ডামারা পয়েন্টকে প্রজনন ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে উল্লেখ করেন তিনি।ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সব নদ-নদীতে এ অভিযান চলবে।মন্ত্রী বলেন, নিষিদ্ধ ২২ দিন বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।