দুর্নীতি মামলায় ১৩ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার আপিলের ওপর পুনঃশুনানির রায় পিছিয়ে গেছে। রোববার রায় ঘোষণার দিন থাকলেও আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও শুনানি শুরু হয়। আদালতে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

আমিন উদ্দিন মানিক পরে বলেন, সোমবার দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রায় দিতে পারে।এর আগে গত ১৪ অগাস্ট আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষ করে আদালত ৭ অক্টোবর রায়ের দিন রাখে।৬ কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় এ মামলা করেন।জরুরি অবস্থার মধ্যেই ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এই আওয়ামী লীগ নেতাকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেয়; সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।

নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাই কোর্টে আপিলের রায়ে মায়াকে খালাস দেওয়া হয়।দুদক পরে হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে লিভটু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। সে আবেদনে ২০১৫ সালের ১৪ জুন হাই কোর্টের খালাসের রায় বাতিল করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ। সেইসঙ্গে হাই কোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। মায়া আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও বিচারকদের সিদ্ধান্ত বদলায়নি। এরপর আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী হাই কোর্টে মায়ার আপিলের ওপর নতুন করে শুনানি শুরু হয়। গত ১৪ আগস্ট পুনঃশুনানি শেষে বিষয়টি রায়ের পর্যায়ে আসে।