নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত কিছুই নেই। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবো। সোমবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একথা বলেন। এর আগে দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য তিনি মনোনয়নপত্র কেনেন। এর মধ্য দিয়ে বিএনপির মনোনয়নপত্র বেচা-কেনা শুরু হয়েছে।

ফরম বিক্রি শুরুর পরে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এর মধ্যে দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো। খালেদা জিয়ার জন্য আমি নিজে ফরম নিয়েছি।এরপর ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র কেনেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

এদিকে,রাস্তা বন্ধ করে শোডাউন করছে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। সোমবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দলটির নেতাকর্মীও। একপর্যায়ে কার্যালয়ে সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মাইকিং করতেও দেখা গেছে।সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বিএনপির মনোনয়ন ফরমের দাম রাখা হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। আর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সঙ্গে আরও জমা দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা।

ঢাকা -১৪ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকার সাবেক কমিশনার মাসুদ খান। শতাধিক নেতাকর্মীর একটি মিছিল নিয়ে এসে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। মুন্সীগঞ্জ- ১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ। তিনিও শতাধিক নেতাকর্মীর একটি মিছিল নিয়ে আসেন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে। একইভাবে মিছিল নিয়ে আসেন ভোলা -২ থেকে সাবেক এমপি হাফিজ উদ্দিন, ঢাকা-৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আসনের সাবেক এমপি মরহুম নাসির উদ্দিন মিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা।মুন্সীগঞ্জ-২ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ। তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিপুল ব্যবধানে জয়ী হবে। আমরা না মানলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে, আশা করি তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখবেন। যদিও এখন পর্যন্ত সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে যাবো।এদিকে সাদা পোশাকের পাশাপাশি পুলিশের একটি টিম দেখা গেছে নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে। তবে রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।