বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, নির্বচনের পরিবেশ যদি থাকে তা হলে ধনের শীষের প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে। সারাদেশে গ্রামে গ্রামে ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে। সরকারের ইশারায় সারাদেশে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের নুন্যতম পরিবেশ এখন পর্যন্ত নেই। ধানের শীষের যে জোয়ার উঠেছে এ জোয়ার ঠেকানো যাবে না।
মওদুদ আহমদ সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের যারা জোটে আছে আমরা চেষ্টা করবো তাদেরকে ৫০টি আসন দিয়ে সেটা মেটানো যায় কি না। এমূহুর্তে বলা সম্ভবপর নয় যে জোটকে কতগুলো আসন দেয়া হবে। এখানে কম্প্রোমাইজ একোমোডেশান ভেরী ইম্পট্রেন। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দেন দরবার হতে পারে। যেমন একটা নির্বাচনী এলাকা সে নির্বাচনী এলাকায় খুব ভাল একটা প্রার্থী আছে। আমরা মনে করি যে আমাদের ধানের শীষের ভোট ব্যাংক আছে এবং আমাদের প্রাথী সেখানে জিতবে। ওই গ্রহণ যোগ্য প্রার্থী জেতার সম্ভাবনা আছে এধরণের প্রার্থীকে আমরা সেখানে অগ্রাধিকার দেব। প্রার্থীর যোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করবে। আমাদের দলের প্রার্থীর চেয়ে যদি জোটের প্রার্থীর গ্রহণ যোগ্যতা বেশী হয়, তা হলে আমরা তাকে অগ্রাধিকার দেব। আমাদের দলের প্রার্থীর পরিবর্তে সে যদি জোটের প্রার্থী হয় তা হলে আমরা তাকে ওই স্থানে প্রার্থী দেব।
আমরা বরাবরই বলে আসছি, যে সরকার চায়নি বিরোধীদল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করুক। সে জন্য সরকার এখনও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমাদের একটি দাবিও সরকার মানেনি। বরং নির্বাচনে যাতে আমরা অংশ গ্রহণ না করি, সেজন্য এখন পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিরোধী দলের নির্বাচনের দিন যারা এজেন্ট হতে পারে এধরণের নেতবৃন্দদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করছে। তাদেরকে বাড়ি ঘরে থাকতে দিচ্ছে না।এত বৃহৎ একটি সংখ্যার প্রার্থীতা আজকে কমিশন বাতিল ঘোষণা করছে। আমরা সব সময় বলে আসছি নির্বাচন কমিশন এবং সরকার একই লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য একটাই, সেটা হল বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন করা। নির্বাচন কমিশন সরকারের সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অবশ্যই এ প্রার্থিতা বাতিল করণের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করব। যেখানে যেখোনে আইনের আশ্রয় নেয়া সম্ভবপর আশ্রয় নেয়া উচিৎ সে সব বিষয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনে ফাইট করে এসব সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হবে। একই দিন বিকেলে মওদুদ আহমদ তাঁর নির্বাচনী এলাকার কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট, রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজার, মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার, রংমালা বাজার, চরহাজারী ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় গণসংযোগ করেন।
