বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অসহায়, তিনি বিব্রত বোধ করছেন, তারপরও যদি তিনি সঠিক পদক্ষেপ নেন তবে আমরা নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে প্রমাণ করতে পারবো।  বুধবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, ড্যাবের মহাসচিব এজেডএম জাহিদুল ইসলাম। সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন: আমরা মনে করি তিনি (সিইসি) অসহায়। তিনি বিব্রত বোধ করছেন, এটা সত্যি। কারণ তিনি কিছু করতে পারছেন না। তবুও আমরা আশা রাখি, সিইসি যেহেতু এবার একটি সুযোগ পেয়েছেন, তিনি যদি সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেন। তাহলে কিন্তু আমরা এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে প্রমাণ করতে পারব।

সিইসি বিব্রত দাবি করে তিনি বলেন: সিইসি বলছে আমি চেষ্টা করছি। কিন্তু পুলিশ বলছে আগে থেকে যাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, তাদের আমরা ধরছি। পুলিশ বলছে তাদের নামে সুনির্দিষ্ট কেইস আছে। সিইসি’র প্রশ্ন সেই সুনির্দিষ্ট কেইস কি সেটা আমি কি করে জানব। আমি চেষ্টা করছি, আমি চেষ্টা করব।

সেলিমা বলেন: ১০ তারিখ থেকে প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণার পর পরই আমাদের মহাসচিবের গাড়ি বহরে আক্রমণ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রচারণায় বারবার হামলা করা হচ্ছে। মঈন খানের এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী ও যুবলীগ মিলে এই হামলা করছে।

‘যারা জামিনে আছেন তাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না। নাটোরে জামিনে থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নেতা দুলুকে আটক করা হয়েছে। যাদের নামে মামলা নেই অজ্ঞাতনামা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে আমাদের এমন নেতা-কর্মীদের।’

তিনি আরও বলেন: তারা চাইছে আমরা যেন নির্বাচনে প্রচারণ চালাতে না পারি, নির্বাচন যেন না করতে পারি। তারা একতরফাভাবে নির্বাচন করতে পারে। সে কারণে এখন ভয়ভীতি, হামলা মামলাসহ বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করছে। প্রার্থীদের উপর বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো জানাতে আজ আমরা এসেছি। কারণ তিনি বলেছিলেন আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেবো। সবাই সমান সুযোগ পাবে।

সেলিমা রহমান অভিযোগ করে বলেন: আমাদের নেতাকর্মীরা এখন পলাতক। আমরা বলতে পারছি না আমরা বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের জন্য এজেন্ট খুঁজে পাবো কিনা। কারণ পুলিশের ভয়ে অনেকে পলাতক রয়েছেন। এই বিষয়গুলো আমরা কমিশনকে জানালাম। তফসিলের পর গ্রেপ্তার হবে না বললেও এখন প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার হচ্ছে এবং অজ্ঞাতনামা দিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হচ্ছে। এই অজ্ঞাতনা জানতে চাইলে পুলিশ বলছে তাদের নামে আগে থেকে মামলা ছিল। তারা নিজেরাই এগুলো করছে।