আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে এটা এখন সময়ের ব্যাপার। নির্বাচন নিয়ে গোলযোগ রটানো কারীদের কথায় কেউ কান দিবেন না। কয়েক দিনের মধ্যে সেনাবাহিনী মাঠে নামছে। তখন দেখবেন যারা এই শান্তির নগরী লালমোহন-তজুমদ্দিনকে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন তখন তারা লেজঘুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। তখন তাদেরকে পতিহত করতে হবে।

শনিবার সকালে লালমোহনের মঙ্গলসিকদার, হরিগঞ্জ ও লালমোহন পৌর শহরের পথসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম এসব কথা বলেন।

এসময় মেজর হাফিজ বলেন, গত ৬ বছর ধরে সন্ত্রাসীরা আমাকে এলাকায় আসতে দেয়নি। আপনার কাছ থেকে আমাকে দুরে রেখেছে। আজ আপনাদের ভালোবাসার টানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ধানের শীষ নিয়ে আপনাদের মাঝে আবার ফিরে এসেছি। গত কয়েক দিন আগে আমি লঞ্চ যোগে লালমোহন আসতে চেয়েছিলাম সেই লঞ্চেও হামলা করা হয়েছে এবং আমার বেশ কিছু নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।

এসময় মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, আজ আমি নির্বাচনী এলাকায় আসার পর দালালবাজর আমার সমর্থকদের ওপর হামলা ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। লালমোহন বাজারে আমার বহরে আক্রমনের চেষ্টা করা হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান নিরব সহ আমার বেশ কিছু নেতা কর্মীদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শতাধিক বহিরাগত স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে এখানকার নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এবং আমার নেতা কর্মীদের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে আপনারা বিচলিত হবেন না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই সকল সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে।

এর আগে সকালে সাবেক ছয় বারের এমপি মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিনের লালমোহনের ধলীগৌরনগরের মঙ্গলসিকদার লঞ্চ ঘাটে আগমনের খবর শুনে ভোর হতেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের লঞ্চ ঘাটে অবস্থান করেন। তাদের প্রিয় নেতার জন্য অপেক্ষারত হাজার হাজার নেতা কর্মীর অবস্থানে পুরো লঞ্চঘাট এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় । পরে লঞ্চ ঘাট হতে পুরো জনসমাগমের সকল নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রায় ১০ কিলো পায়ে হেটে লালমোহনের লঞ্চঘাট সড়ক সংলগ্ম নিজের বাসভবনে অবস্থান করেন মেজর হাফিজ। এসময় সমাবেত হওয়া হাজার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য প্রদান করেন ।