খুব দ্রুতই ভারতের সঙ্গে নয়টি রেল পথ সংযুক্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবারে রেলমন্ত্রী এ তথ্য জানান। সাংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগের জন্য সাতটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট আছে। এ সাতটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে চারটি চালু রয়েছে। বাকি তিনটি ইন্টারচেঞ্জ চালু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি নতুন ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এসব রেল সংযোগের মধ্যে রয়েছে— দর্শনা-ভারতের গেদে, বেনাপোল- পেট্রাপোল, রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ, বিরল-রাধিকাপুর, শাহবাজপুর-মহিশাসন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি, বুড়িমারী-চেংরাবান্ধা, আখাউড়া-আগরতলা এবং ফেনী থেকে ভারতের বিলোনিয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ।

এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুত গতির রেল রুট চালুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রেলওয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে এ রুটের সম্ভাব্যতা যাচাই করার কাজ চলছে। আশাকরি সম্ভাবতা যাচাই শেষ হলে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দ্রুত গতির রেল লাইন বসানোর কাজ করতে সমর্থ হব এবং চালু করতে পারব।

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৪টি জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। বর্তমানে আরও ১৫টি জেলা (মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মেহেরপুর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, বান্দারবান, কক্সবাজার, নড়াইল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালি, মানিকগঞ্জ, পিরোজপুর এবং বরগুনা) রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। পরবর্তিতে দেশের ৬৪ টি জেলাকেই রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।