গুরুতর অসুস্থ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গিয়ে দেখে এসেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এরপর স্পিকার শিরীন শারমিনও তাকে দেখে গেছেন। এর আগে বিকাল সোয়া তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে দেখে যান।

রাষ্ট্রপতি বিএসএমএমইউ পৌঁছান রবিবার (৩ মার্চ) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে। সেখানে ওবায়দুল কাদেরের শয্যাপাশে কিছুক্ষণ কাটানোর পর বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বের হয়ে যান তিনি।

বিএসএমএমইউ-এ ২৫ মিনিটের মতো অবস্থান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সেখানে তিনি ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এসময় সেখানে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বের হওয়ার পর অসুস্থ ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউতে আসেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও। তিনিও আইসিইউতে ওবায়দুল কাদেরকে দেখেন এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

রবিবার (৩ মার্চ) ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে এনজিও গ্রামে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর তাকে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে রাখা হয়।

বিএসএমএমইউ’র সহকারী পরিচালক ডা. নাজমুল আহসান বলেন, ‘তার কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়েছিল। তার হার্টে একটা রিং পরানো হয়েছে। এখন তিনি অবজারভেশনে আছেন।আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরইমধ্যে এই বিষয়ে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র জানায়, দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করছেন।

হাসপাতালে ভর্তির পর মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ফজরের নামাজ পড়ার পর হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল তার। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।