গাজীপুরে শুক্রবার ভোর রাতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্র ব্যবসায়ী এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় র‌্যাব’র দু’সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম হাবিবুর রহমান ওরফে হাবি (৩৬)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বারবৈকা এলাকার হাজী আব্দুল বারেকের ছেলে।

র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনা এলাকায় বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে একদল অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী অস্ত্র বেচাকেনা করছিল। র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় এ গোপন সংবাদ পেয়ে ওই ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সালনাস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পরিত্যাক্ত বাংলোর পাশে যায়। এসময় অস্ত্র ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা পিছু হটে যায়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে কপালে ও বুকে গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ সেখানে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিনসহ গুলির তিনটি খোসা উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এএসআই (নি) উজ্জল ও সানাউল্লাহ নামের র‌্যাবের দু’সদস্য আহত হয়। তাদেরকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে গিয়ে নিহতের লাশ সনাক্ত করেন।

র‌্যাব-১ এর ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত ওই যুবক অস্ত্র ব্যবসায়ী দলের সদস্য। সে এলাকার তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে দীর্ঘ দিন যাবৎ গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা প্রকার সন্ত্রাসী হামলা, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, অবৈধ ভূমি দখল, চাঁদাবাজী, প্রতারণা, টেন্ডারবাজী, খুন জখম, ধর্ষণ, হাট-পা কাঁটাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছিল। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র, মাদকসহ নানা অভিযোগে সর্বমোট ১৪ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সে একাধিক ধর্ষণ মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্ট ভূক্ত পলাতক আসামী। এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।