আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমরা সব বিষয়ে সফল হলেও একটি বিষয় নিয়ে উদ্বীগ্ন। দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বেড়ে গেছে। যা বিএনপির চেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই আইনমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করছি, ট্রাইব্যুনাল করে এদের বিচার করুণ।

তিনি বলেন, ৭১’র ঘাতকদের যদি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করা যেতে পারে, তাহলে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের কেন ট্রাইব্যুনাল করে বিচার করা যাবে না। এরা বিএনপির-জামায়াতের চেয়েও ভয়ঙ্কর। আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো এরা ক্রিমিনাল। এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিন।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি এখন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। যখন কোনো দল রাজনৈতিকভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে, তখন ভয় হয়। কোনো দল রাজপথে সক্রিয় না থাকলে ষড়যন্ত্র করে। তাই ভয় পাই। তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি হত্যা ও ক্যু এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা এসেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগকেও হত্যা ও ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তারা রাজপথের পরাজিত সৈনিক। তারা যেকোনো ষড়যন্ত্র করতে পারে। এ জন্য তদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি সারাহ বেগম কবরির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, জোটের সহ সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ কামাল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, জোটনেত্রী অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা মিজানুর মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন প্রধান, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল হামিদ, কন্ঠশিল্পী বৃষ্টি রাণী সরকার, মাধবী সরকার সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।