সাউথ ইস্ট এশিয়ার খুব ক্ষুদ্র একটি দেশ সিঙ্গাপুর যার আয়তন প্রায় ৭১০ স্কয়ার কিলোমিটার। দেশটির সর্বমোট জনসংখা প্রায় ৫ মিলিয়নের মত. আয়তনে খুব ছুট হলেও বিভিন্ন কারনেই সিঙ্গাপুর আজ বিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম সফল রাষ্ট। আশ্চর্যের বিষয় হলো, দেশটি অনেকাংশেই বিদেশী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীল। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.৩৩ মিলিয়ন বিদেশী শ্রমিক যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়জিত আছেন। নির্মান ইন্ডাস্ট্রি, মেরিন ইন্ডাস্ট্রি, প্রসেস ইন্ডাস্ট্রিসহ অন্যান্য প্রায় সব ইন্ডাস্ট্রিতেই বিদেশী শ্রমিক দেখা যায়, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বিগত প্রায় সব সরকারের আমলেই সিঙ্গাপুরের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় নেই।

বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সিঙ্গাপুরে রাষ্টীয় সফরে দেখা গেলেও বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের দেখা গেছে শুধু ভ্রমন বা চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুরে এসেছেন। শুধু তাই নয়, গত এক দশকে কয়েকটি সম্মেলনে যোগদান ছাড়া দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কোন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে বলে শোনা যায় নেই, যদিও অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশী শ্রমিকরা এখানে বেতন বৈসম্মের শিকার। তাছাড়া কোটা সমস্যা তো আছেই।

সাইফুল ইসলাম (রাজু) দীর্ঘ ১০-১২ বছর যাবৎ সিঙ্গাপুরে প্রবাসে বসবাস করছেন। চাকুরী জীবনে তিনি কন্ট্রাক্টর সুপারভাইজার হিসেবে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করেন। চাকুরীর পাশাপাশি আদনান ষ্টোর (পানের দোকান) পরিচালনা করে আসছেন। তার দোকানে বিভিন্ন রকমের পান পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত ও ভ্রমনের উদ্দেশ্যে আগত সকল পর্যটকদের ভ্রমন গাইড, হোটেল ভাড়া, এয়ারটিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করে থাকেন। তার ভাষ্যমতে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত প্রবাসী শ্রমিকদের বর্তমান সার্বিক অবস্থা ভালোনয়। বিশ্বে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজারের মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। বাংলাদেশ হতে আগত সকল শ্রমিকদের পক্ষহতে জনাব সাইফুল ইসলাম রাজু জানান সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি সরকারের খুব দ্রুত নজর দেওয়া প্রয়োজন। সরকার খুব দ্রুত শ্রমিক বান্ধব কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বাংলাদেশের এই বিশাল শ্রম বাজার হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন এবং খুব দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।