পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের ঝবঝবিয়া গ্রামের বৃদ্ধ পিতামাতা ময়েন উদ্দিন ও তারা খাতুন মেয়েকে ধর্ষণ এবং হত্যার বিচার দাবীতের পাবনা প্রেসকাবে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, জেলার চাটমোহর উপজেলার ঝপঝবিয়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিন মোল্লার মেয়ে শরৎগঞ্জ রইজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনা (১১) র্দীঘদিন ধরে একই এলাকার শাহাদত হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুনের কাছে আরবী পড়তো। প্রতিদিনের মতো গেল বছরের ৬ জুন সকালে আমেনা খাতুন আরবী পড়তে যায় জহুরা খাতুনের কাছে। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জহুরা খাতুনের স্বামী শাহাদত হোসেন আমেনা খাতুনকে জোড় করে ধর্ষন করে, কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা মিমাংসার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরদিন দুপুরে আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনাদের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাহাদত বাড়িতে ঢুকে আবারও আমেনা খাতুনকে জোর করে ধর্ষন করে। বিকেলে বাড়ি ফিরে আমেনা মা তারা খাতুন আমেনা খাতুনকে ঘরের ডাবের সাথে ঝুলন্ত মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

সংবাদ সন্মেলনে নিহতের পিতা-মাতা দাবী করেন, তার মেয়েকে শাহাদত গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাঁশের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা তারা খাতুন বাদী হয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের কারণে সম্ভমহানীর প্রত্যক্ষ কারণে আত্বহত্যার প্ররোচিত করার অপরাধে শাহাদত হোসেনকে (৩৫) একমাত্র আসামী করে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন।

আত্বহত্যার প্ররোচিত করার অপরাধে মামলা দায়ের করে এখন কেন মেয়েকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাঁশের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনার পিতা ময়েজ উদ্দিন বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী অশিক্ষিত লেখা পড়া যানিনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন থানায় নিয়ে গিয়ে কাগজে লিখে স্বাক্ষর করতে বললে আমার স্ত্রী তারা খাতুন ওই কাগজে স্বাক্ষর করে।

সংবাদ সন্মেলনে নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনার পিতা-মাতা ও স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সামছুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মুঠোফোন বন্ধ
পাওয়া যায়।