ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতিটি ওয়ার্ডে যথাযথভাবে এডিস মশার ওষুধ স্প্রে করার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে হবে দুই সিটির মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) বায়ু দুষণ রোধে করা রিট আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।বায়ুদুষণ রোধের রিটের শুনানিতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে আলাদা দুটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতা বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পরে রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আগের একটি নির্দেশনা অনুযায়ী আজকে সিটি কর্পোরেশন থেকে রিপোর্ট দাখিল করা হয়। ওই রিপোর্টের ভেতরে ডেঙ্গু রোগবাহি এডিস মশা নিধনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে অনেকগুলো নির্দেশনার ব্যাপারে তারা বলেছেন, প্রত্যেকটা ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে, ওষুধ ছিটানোর জন্য। জনসচেতনতা বাড়াতে উঠান বৈঠক করার কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কমিটি করা হয়েছে।

মনজিল মোরসেদ বলেন, প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রভাবতো অনেকখানি বেড়ে গেছে। এমনকি অর্থমন্ত্রীও ডেঙ্গুর কারণে বাজেট পেশ করতে পারেন নাই। এছাড়া, আরও অনেক মন্ত্রী এমপি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। বিচার বিভাগেরও অনেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। শত শত মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এটা তো মহামারি আকার ধারণ করছে। আপনারা কি ওষুধ দিচ্ছেন? তাতে তো নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। গত ২৬ জুন যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আদালতকে অবহিত করবেন। ওই পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে শেষ হবে কিনা সেটা নিশ্চিত করবে কে?

মনজিল মোরসেদ বলেন, এ কারণে কোর্ট আদেশ দিয়েছেন, মশা নিধনে ওষুধ ছিটাতে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি ঠিকমত কাজ করছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা এবং সঠিকভাবে ওষুধ ছিটানো।

একই সঙ্গে এ ধরনের পদক্ষেপ ঠিকমত পালন করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।