যৌক্তিক কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এর প্রতিবাদে বিরোধীরা হরতাল ডাকলে জনগণ সাড়া দেবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে যৌক্তিক কিছু কারণ আছে। আমাদের দেশের মানুষ বাস্তবতা বোঝেন। বাস্তব কারণে যৌক্তিক কিছু দাম এখানে সমন্বয় করা হয়েছে। দেশের মানুষ বিষয়টাকে সহজভাবে নেবেন- এটাই আমরা আশা করি।

এখন বিরোধী দল প্রতিবাদ করবে এটাই সাভাবিক এবং আমার কাছে মনে হয়, তাদের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ বিশেষ করে হরতালে জনগণের কোনো সাড়া মিলবে- এটা আমার বিশ্বাস হয় না।সমাজের বিভিন্ন অংশের আপত্তির মধ্যেই সব পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ৩২.৮ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার, যা কার্যকর হয়েছে জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই।

আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলার জন্য মাসে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা দিতে হবে, যা এতোদিন ছিল যথাক্রমে ৭৫০ টাকা ও ৮০০ টাকা।গৃহস্থালিতে মিটারে যারা গ্যাসের বিল দেন, তাদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের ব্যবহারের জন্য ১২ টাকা ৬০ পয়সা করে দিতে হবে। এতোদিন প্রতি ঘনমিটারে তাদের বিল হত ৯ টাকা ১০ পয়সা।অর্থাৎ, রান্নার গ্যাসের জন্য চুলাভিত্তিক গ্রাহকদের প্রতি মাসে ২৩ শতাংশ এবং মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের ৩৮ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ হবে।

যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম সোমবার থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩ টাকা হবে।এই হিসাবে গাড়ির গ্যাসের জন্য মালিকদের খরচ বাড়বে সাড়ে ৭ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহনে এর প্রভাব পড়বে; এর মাসুল দিতে হবে যাত্রীদের।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ৭ জুলাই দেশজুড়ে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বামপন্থি দলগুলোর জোট। তাদের অভিযোগ, সরকার দেশি-বিদেশি লুটরাদের সুবিধা দিতে সাগরের গ্যাস না তুলে সংকট জিইয়ে রেখে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি চালু রেখেছে।এদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।