বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ফর্মের তুঙ্গে থাকা হিটম্যান রোহিত শর্মাকে ব্যক্তিগত ০১ রানে উইকেট কিপার টম ল্যাথামের তালুবন্দী করেন ম্যাট হেনরি। এরপর বড় ধাক্কা খায় ভারত কোহলিকে হারিয়ে। ট্রেন্ট বোল্টের করা চমৎকার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন কোহলি। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন কোহলি কিন্তু তার রিভিউ আম্পায়ার কলে বিফলে যায়। যদিও রিভিউ টিকে থাকে ভারতের। আউট হওয়ার আগে ০১ রান করেন। এরপরের ওভারের প্রথম বলেই ম্যাট হেনরির দ্বিতীয় শিকার হন লোকেশ রাহুল। টম ল্যাথামের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ০১ রানে ফিরে যান লোকেশ রাহুল।

দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ের ম্যাচে হাল ধরবেন বলে দিনেশ কার্তিকের প্রতি ভরসা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। দলের এই দুঃসময়ে তিনিও নিজে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেননি। ম্যাট হেনরির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জেমস নিশামের বাঁ-হাতের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন কার্তিক। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় ভারত।

পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন রিশব প্যান্ট। আগের ১২ বলে মাত্র ১ রান নেয় ভারত। পরপর ডটবল খেলার কারণে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেষ্টা করেছিলেন প্যান্ট। কিন্তু মিচেল স্যান্টনারের বল তুলে মারতে গিয়ে কলিন ডি গ্রান্ডহোমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৬ বলে মাত্র ৩২ রান করেন রিশব প্যান্ট।

এরপর ২১ রানের ব্যবধানে মিচেল স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন হার্দিক পান্ডিয়া। তার আগে ৬২ বলে ৩২ রান করেন পান্ডিয়া। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৩০.৩ ওভারে ৯২ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এরপরে জাদেজা ও ধোনির ব্যাটে চড়ে খেলায় ফেরে ভারত। জাদেজা অনবদ্য এবং ধোনির ধের্যশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছিলো ভারত। কিন্তু বোল্টের করা শেষ ওভারে জাদেজা ক্যাচ তুলে দিলে আবার খেলায় ফেরে কিউইরা। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন জাদেজা। দলকে ১২ বলে ৩২ রানের দূরত্বে রেখে গেলে শেষ ভরসা হিসেবে ক্রিজে থাকেন ধোনি।

ফার্গুসনের করা ওভারের প্রথম বলে ৬ মেরে আভাস দেন ঝড়ের। কিন্তু তার পরের বল ডট দিয়ে এরপরের বলে ‍দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ধোনি ফিরে গেলে ভারতের আশাও শেষ হয়ে যায়। ওভারের শেষ বলে ভুবনেশ্বরকে বোল্ড করেন ফার্গুসন।

জিমি নিশাম যখন এলেন শেষ ওভার করতে ভারতের তখন দরকার ছিলো ৬ বলে ২৩ রান। প্রথম বলে ৪ মারেন চাহাল। তার পরের বলে ডট। তারপরের বলেই কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন চাহাল। সাথে শেষ হয় ভারতের বিশ্বকাপ মিশন। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের আশা শেষ করে দেয় সেমিফাইনালের সবচেয়ে দূর্বল দল নিউজিল্যান্ড।

কিউই বোলারদের মধ্যে ম্যাট হেনরি ৩টি উইকেট নিয়ে মূল সর্বনাশ করেন ভারতের। সাথে বোল্ট ও স্যান্টনারের ২টি করে উইকেট ও জিমি নিশামের শেষ উইকেট তুলে নেয়ার মাধ্যমে ভারতের পরাজয় নিশ্চিত হয়। লকি ফার্গুসন নেন এক উইকেট।

এর আগে ম্যানচেস্টারে বৃষ্টি বাধায় খেলা বন্ধ থাকার পরে বুধবার (১০ জুলাই) রিজার্ভ ডে তে আবার খেলা শুরু করে। মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৪৬.১ ওভারে বৃষ্টি নামে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামে। তখন কিউইদের রান ৫ উইকেটে ২১১।

খেলতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে শুরু করে কিউইরা। আগেরদিনের অর্ধশতক করে খেলা শেষ করা রস টেলর রান আউট হয়ে ফিরে যান ৭৪ রান করে। ল্যাথাম আউট হন ১০ রান করে ভুবনেশ্বরের বলে।

এর আগে বৃষ্টি নামায় হতাশ ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেটভক্তরাও। শেষমূহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিল মঙ্গলবার ম্যাচটি শেষ করার। কিন্তু কোনোভাবেই তা সম্ভব হলো না। ফলে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০) আজকের খেলা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হয়।

যার ফলে বুধবার আবার মাঠে গড়াবে বলে স্থগিত হয় ম্যাচটি। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচে নতুন করে খেলা হবে না। বরং গতকাল শেষ হওয়া অবস্থা থেকেই শুরু হবে আজ। অর্থাৎ নিজেদের ইনিংসের বাকি থাকা ২৩ বল খেলতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। এরপর পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করবে ভারত।

দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ের ম্যাচে হাল ধরবেন বলে দিনেশ কার্তিকের প্রতি ভরসা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। দলের এই দুঃসময়ে তিনিও নিজে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেননি।

ম্যাট হেনরির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জেমস নিশামের বাঁ-হাতের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন কার্তিক। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৪ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় ভারত।

পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন রিশব প্যান্ট। আগের ১২ বলে মাত্র ১ রান নেয় ভারত। পরপর ডটবল খেলার কারণে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেষ্টা করেছিলেন প্যান্ট। কিন্তু মিচেল স্যান্টনারের বল তুলে মারতে গিয়ে কলিন ডি গ্রান্ডহোমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৬ বলে মাত্র ৩২ রান করেন রিশব প্যান্ট।

এরপর ২১ রানের ব্যবধানে মিচেল স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হন হার্দিক পান্ডিয়া। তার আগে ৬২ বলে ৩২ রান করেন পান্ডিয়া। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৩০.৩ ওভারে ৯২ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত।

বিশ্বকাপের শুরুতে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছিল তাদের জয়যাত্রা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ছন্দপতন ঘটতে শুরু করে পাকিস্তানের কাছে হারের পর। গ্রুপ পর্বের শেষ তিনটি ম্যাচ টানা হেরে গেলেও রানরেটের ব্যবধানে চতুর্থ হয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখায় তারা।

সেমিতে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মুখোমুখি তারা ভারতের। টস জিতে স্কোরবোর্ডে একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর তোলার লক্ষ্যে শুরুতেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের সামনে যে গতিতে রান তুলছে তারা, তাকে কচ্ছপ গতির সঙ্গে তুলনা করলেও যেন কম করা হবে। তারপরেও ২৩৯ তুলতে পারে কিউইরা।