দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক ড. আ ব ম ফারুক। শনিবার (১৩ জুলাই) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক ফারুক জানান,প্রথম দফায় দুধের নমুনা পরীক্ষা করে তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গিয়েছিল। এবার চারটি পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে পরীক্ষাটি পুনরায় করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবারও আগের ৫টি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের নমুনা এবং খোলা দুধের ৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১০টি নমুনাতেই উদ্বেগজনক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে।

অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা ছিল চারটি। এগুলো হলো, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন,এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন। এর মধ্যে আগেরবার ছিল না এমন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দুটি। তা হচ্ছে, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন। ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে চারটি। ছয়টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তিনটি এবং একটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দুটি।

তিনি আরও বলেন, আগামীতেও এই পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশের চেষ্টা করবো। আশা করি, এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে তাদের দুর্বলতা দূর করে পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলো দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে এবং এভাবে দেশের দুধের মানের উন্নতি ঘটবে। এই সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোনও সরকারি কর্মকর্তাকে আর বিদেশি চক্রান্ত খুঁজতে হবে না।

গত ২৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফারুক কিছু খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। খাদ্যের মধ্যে ছিল ঘি, পানীয়, গুঁড়া মসলা, হলুদ, পাম ওয়েল, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল ও পাস্তুরিত দুধ। কোন কোন কোম্পানির খাদ্যের নমুনা তাঁরা পরীক্ষা করেছিলেন সেগুলোর নাম তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছিলেন।

ওই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিশেষ করে দুধের মান পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন জন প্রশ্ন তোলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান বিবৃতি দিয়ে বলেন, অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের গবেষণা ফলাফলের দায়দায়িত্ব তাদের না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে অধ্যাপক ফারুকের বিরুদ্ধে কটু মন্তব্য করেছেন।তবে সাামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আ ব ম ফারুকের পক্ষে কথা বলেছেন এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়।