সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী আখ্যায়িত করে তার বিচারের দাবি তুলেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, এস কে সিনহাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা উচিৎ। মোজাম্মেল বলেন, বিচার বিভাগে এত বড় দুর্নীতিবাজ কখনোই বাংলাদেশে আসে নাই। দেশ ছাড়ার পর এস কে সিনহা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে এছাড়াও শত শত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সে কেবল দুর্নীতিই করেনি, আইনও লঙ্ঘন করেছেন। অনতিবিলম্বে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিৎ।যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিচারপতি সিনহা তারেক রহমান ও প্রিয়া সাহার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন বলেও দাবি করেন মন্ত্রী মোজাম্মেল।সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দিয়ে এস কে সিনহা সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি করে গেছেন বলেও অভিযোগ করেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি একটা ভুল করে থাকেন, তবে সেটা হল এস কে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করা।তবে তাকে প্রধান বিচারপতি করার উদ্দেশ্য ছিল দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের আস্বস্ত করা। কিন্তু সিনহা সময়মত ধরা পড়েছেন। ফলে এটা ভুল ছিল, তাও বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ঠিকই সময়মতো ধরে ফেলেছেন।যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীকে বাঁচাতে বিচারপতি সিনহা তৎপর ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, এস কে সিনহা ড. কামাল হোসেন সমার্থক। এই দুটি নামের একই অর্থ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে আর কামাল হোসেন থাকবে না, তা হতে পারে না।প্রধান বিচারপতি হয়ে এস কে সিনহা যা করেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে তাই করেছিলেন।

এস কে সিনহার এসব কর্মকান্ডের দালিলিক প্রমাণ কানাডার সরকারের কাছে তুলে ধরে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় না দিতে সরকার ও সুশীল সমাজকে আবেদন করার আহ্বান জানান স্বদেশ রায়।সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম।এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়। অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন সংসদ সদস্য ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফা রহমান রুমা।