খুলনা জিআরপি থানা হাজতে এক নারী আসামিকে গণধর্ষণের ঘটনায় থানার ওসি উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, ২ আগস্ট শুক্রবার খুলনার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা শেষে ওই নারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর দুলাভাই জানান, শুক্রবার তার শ্যালিকা ট্রেনে যশোর থেকে খুলনায় আসেন। সন্ধ্যায় খুলনা রেলস্টেশনে জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে সন্দেহজনকভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের দুলাভাইকে ফোন করে ওসি উছমান গণি থানায় ডেকে নিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন।

তিনি আরও জানান, টাকা না দিলে তার শ্যালিকাকে ফেনসিডিলসহ আরও কঠিন মামলায় চালান দেয়া হবে বলে জানান ওসি। পরে রাতে তিনি বাড়ি ফিরে যান। এরপর গভীর রাতে ওসি উছমান গণি পাঠান প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও চারজন পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে পরদিন ৩ আগস্ট শনিবার তাকে ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়।