আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সব আদালতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেই সেঙ্গ একটি রুল জারি করেছে আদালত। আদালত কক্ষে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি এবং আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই রুলে।

আইন সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, অর্থ সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।আর আদালত কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টাঙানোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হল, তাও ওই দুই মাসের মধ্যে জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গত ২১ অগাস্ট হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার আদালতে তিনিই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদেশের পর সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালতে তাদের জাতির জনক বা জাতীয় বীরদের ছবি টাঙানোর নজির আছে। আমাদের সংবিধানে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তা চ্যালেঞ্জ করেই আমরা রিট করেছিলাম।সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন আইন অনুযায়ী কেবল ধর্মীয় উপাসনালয় ছাড়া সব প্রতিষ্ঠানে জাতির জনকের প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা আছে। আইন প্রণেতারা সেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো জায়গা বাদ দেননি। তাই আদালত কক্ষেও প্রদর্শন করার বাধ্যবাধকতা আছে।