বান্দরবানের লামা পৌরসভাস্থ লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর মানবিক বিভাগের এক ছাত্রীকে লামা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের নয়া পাড়া গ্রামের অসহায় মহিলা দিন মজুরের মেয়ে ১০ শ্রেণির ছাত্রী (১৭) ধর্ষনের ৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক মোঃ আমির হোসেন (২৫)। এর আগে লামায় দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোর-পূর্বক ধর্ষণ দিন এমন শিরোনামের সংবাদ , সংবাদ পত্রে ফলোও করে প্রকাশ করা হলেও টনক নরেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর’র মা ছালেহা বেগম এর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটিকে পাশ্ববর্তী একই ওয়ার্ডের যুবক মো.আমির হোসেন(২৫) পিতা মৃত আবুল কালাম (আলু কোম্পানি) প্রায় সময় স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত। পাশ্ববর্তী হওয়ায় কোন রকম কঠোর প্রতিবাদ করা হয়নি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হঠাৎ তার মায়ের ঘুম ভেঙে গেলে মেয়েকে বিছানায় না পেয়ে বাড়ির সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির সামনে আমির হোসেনের মাকে বাড়ি থেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেন আমির হোসেন কে সন্দেহ করে, পরে আমির হোসেনকে ডেকে তোলে তার রুমে প্রবেশ করতে মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।

এক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী লোকজনের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে সুস্থ করা হলে ছাত্রীটি জানায় রাত দেড়টার দিকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে সে ঘরের বাইরে শৌচাগারে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় তার মুখ ও চোখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায় আমির হোসেন ও তার মামা জামাল। পরে আমির হোসেন তার কক্ষে মেয়েকে ধর্ষণ করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে কোন উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে লামা থানায় উপস্থিত হয়ে আইনের আশ্রয় চেয়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ দাখিল করেন ছাত্রীর মা ছালেহা বেগম (৫০)।

স্কুল ছাত্রীর মা ছালেহা বেগম জানান, আমার মেয়ে ধর্ষনের ৫ দিন অতিবাহিত হতে চলেছে। তার পরও এখনও পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হননি। তাই হতাশা ধীরে ধীরে গ্রাস করছে আমাকে। আমি গরীব দিন মজুর। পরে হোটেলে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করছি যেন ধর্ষককে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়। এ সময় অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে লোক লজ্জ্বায় আমার মেয়েটি আর স্কুলে যায়না। এমন চলতে থাকলে আমার মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। আমার মেয়ে কি এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে স্যার।

এদিকে এ ধর্ষনের ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষককে আসামী করে লামা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই স্কুল ছাত্রীর মা । পরে কৌশলে ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায় মোঃ আমির হোসেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফের রহমান মামলা তদন্ত চলছে জানিয়ে বলেন, আসামী পলাতক আছে। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার মেডিকেল রিপোর্ট হইছে।

ধর্ষনের ৫ দিনেও আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ার কারন জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, আসামী পলাতক আছে। তাকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

স্বপন কর্মকার, (বান্দরবান) প্রতিনিধি