গাজীপুরে গেইট ভেঙ্গে বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তা এক গ্রাম্য মাদবরকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহতের স্ত্রী ও ছেলে আহত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। নিহতের নাম আব্দুর রউফ ওরফে রউফ মাদবর (৬২)। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকার মৃত আজগর আলী ওরফে আজর আলীর ছেলে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ, পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকার আব্দর রউফ এলাকায় গ্রাম্য সালিশী ও কৃষি কাজ করতেন। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত আব্দুর রউফের বাড়িতে হানা দেয়। এরআগে দুর্বৃত্তরা প্রতিবেশীদের ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকে দেয়। তারা রউফের বাড়ির কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রউফের ছেলে, পুত্রবধূ ও এক নাতনীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে ও মারধর করে। টের পেয়ে তাদের বাঁচাতে পাশের ঘর থেকে এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা রউফকেও আটক করে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা রউফের গলা টিপে ও বালিশ দিয়ে চেপে ধরে শ^াসরোধ করে। এতে ঘটনাস্থলেই গৃহকর্তা রউফ নিহত হন। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা রউফের স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৫৫) মারধর করে এবং ছেলের সঙ্গে একই কক্ষে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। পরে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ি থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের মারধরে নিহতের স্ত্রী ও ছেলে আহত হয়। পরে বাড়ির লোকজনের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি মো. এজাজ শফি জানান, গ্রাম্য সালিশীর কারণে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার জেরে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি।