আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উজ্জ্বল ভাবমূর্তির নেতারাই এবার সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির নেতৃত্বে আসবে। যারা অপকর্মে জড়িত তাদের বাদ দিয়েই কমিটি গঠন করা হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা কমিটির সম্মেলন আগে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টায় সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভেতরে খালেদার মুক্তির জন্য সহযোগীতা চাইলেও বাইরে তাদের বক্তব্য হচ্ছে আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করার। আমি মনে করি তারা আন্দোলন করুক। আন্দোলন করে বিস্ফোরণ সৃষ্টি করে যদি তাকে মুক্ত করতে পারে করুক। কিন্তু বাস্তবে আন্দোলনের কোন চিত্র দেখছি না। আন্দোলনের কথা বললেও তাদের কোন ছোট ঢেউও দেখলাম না। বিএনপি এত বড় দল, আন্দোলন করে সরকার পতন করুক। তাহলেই তো খালেদা মুক্ত হবেন, তাদের সরকারে আসার খায়েশ পূরণ হবে।

খালেদার জামিনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির একজন এমপি আমার সঙ্গে দেখা করে তার জামিনের বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি তাদের দলের অভিপ্রায়ের কথা বলেছেন, যে বেগম জিয়াকে জামিন দিলে তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন। এই বিষয়টি যেনো প্রধানমন্ত্রীকে জানায়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি, তিনি বলেছেন ‘এটা আদালতের বিষয়। জামিন আদালতে না হলে আমি কিভাবে দিবো।’ বিএনপির সেই সংসদ সদস্য নিজেও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন।

আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, তিনি জামিন পাবেন কিনা সেটা আদালতের বিষয়। সরকার আদালতকে কিভাবে বলবে জামিন দিতে? তাহলে এটি বিচার ব্যবস্থার প্রতি অসম্মান নয়? তিনি যদি জামিন পান চিকিৎসকরা যদি মনে করেন তার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করা দরকার সেটা তারা বলতে পারেন। সে ধরনের কোন রিপোর্ট পেলে পরামর্শ থাকলে তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জামিন আবেদন করলে পক্ষ বিপক্ষ আলোচনা হবে। সে অবস্থায় আসলে জামিন তারা কেন চান, জামিন চাওয়ার মতো মামলায় সেই সুবিধা আছে কিনা সেটি দেখতে হবে। এটা আদালতের বিষয়। যিনি বিচারপতির আসনে বসবেন তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন। সরকারের এখানে কিছুই করার নেই। বেগম জিয়ার সঙ্গে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। সব কিছুই এখন যদির মধ্যে আটকে আছে।

বিদেশে বসে আন্দোলনের ডাক দিলে কেউ সাড়া দেবে না, কারণ আন্দোলনের মতো কোন পরিস্থিতি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্রাটের গ্রেফতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বলছি ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন। আমি কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে কিছু বলব না। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। তৃণমূলের সম্মেলনে অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের দলের নেতৃত্বে বসাবো না। এটাও আমাদের একটি উদ্দেশ্য।