ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের অপহৃত ব্যক্তিকে গোপালগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ। অপহৃত কবির হোসেনকে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন সিংগেরকুল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় নারীসহ অপহরনকারী চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, অপহরনের ১০-১২ দিন আগে একটি অপরিচিত নম্বর (অপহরনকারী চক্রের একজন সদস্য) থেকে ২০ টাকা ফ্লেক্সিলোড ভিকটিম কবিরের নম্বরে আসে। সেই সূত্র ধরে অপহরণকারী চক্রের মহিলা সদস্য ইসমত আরা (৩৫), স্বামী- মোঃ রেজাউল মোল্লা, সা-জাগুসা, থানা-মহেশপুর, জেলা-ঝিনাইদহ ভিকটিমের সাথে প্রেমের অভিনয় করে ভিকটিমকে ৮ অক্টোবর সকালে কোটচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা করতে বলে। কথা অনুযায়ী দেখা করার পর ইসমত আরা তাকে কৌশলে যশোর নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকেই অবস্থান নেওয়া অপহরনকারী চক্রের অন্য ২ সদস্য ও ইসমত আরা ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন প্রত্যান্ত অঞ্চল সিংগেরকুল বাজারে জনৈক বাবলু মোল্লার বাড়িতে আটকে রাখে। ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে তার অভিভাবকের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবী করে। না দিলে শারিরীক নির্যাতনের হুমকী দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের চাচা বিল্লাল হোসেন ২ টি পৃথক বিকাশ নম্বরে ৩৫ হাজার টাকা প্রেরণ করে। বিষয়টি কোটচাঁদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যার নং ৩৪৫ তারিখ ০৮/১০/১৯ ইং। পরবর্তীতে গত ০৯ অক্টোবর র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডারকে অবহিত করলে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা ইসমত আরার অবস্থান সনাক্ত করা হয়। মহেশপুর থানাধীন জাগুসা উত্তর পাড়া থেকে ১০ অক্টোবর ভোরে তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত ইসমত আরার দেয়া তথ্য মতে সকাল ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন সিংগেরকুল এলাকার অপহরণকারী চক্রের আরেক সদস্য বাবলু মোল্লারর বাড়ি থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত কবির হোসেন (২৪), কোটচাঁদপুর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের ইয়াদুল ইসলামের ছেলে। আটককৃত অপহরনকারী গোপালগঞ্জ সিংগেরকুল এলাকার মৃত মকবুল মোল্লার ছেলে বাবলু মোল্লা (৫০), সোনাকুর এলাকার মৃত বদরুজ্জামান শেখের ছেলে শরাফত শেখ (৪৬)। আটককৃতদের কাছ থেকে ৭ টি মোবাইল সেট, ৭ টি সীম কার্ড এবং ২ টি বিকাশ সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, আটককৃত ইসমত আরা দীর্ঘদিন যাবৎ তার কয়েকজন সহযোগীর সাথে যোগসাজসে প্রতারণার মাধ্যমে মোবাইলে প্রেমের অভিনয় করে লোকজনকে ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে।