গাজীপুরে মুক্তিপণের দাবীতে অপহরণের প্রায় ত্রিশ ঘন্টা পর পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। এসময় এক দম্পতিসহ ৫ অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আটককৃতরা হলো- সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা এলাকার আজহার রহমানের ছেলে মোঃ শাহিন আলম(৩০), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার বেলুয়া এলাকার মোঃ বেলাল কাজীর ছেলে সোহেল (২৫), সোহেলের স্ত্রী সাহিদা বেগম (২৫), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা এলাকার শ্রী রবি চন্দ্র দাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাস (১৯) এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার ঘুষগাঁও এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাবিনা আক্তার বষার্ (১৬)।

র‌্যাব-১ এর ওই কোম্পানী কমান্ডার জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শিববাড়ি হতে বুধবার বিকেল সাড়ে টার দিকে ৭/৮ জন অপহরণকারী গাজীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর-রশিদকে (৩৯) জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত হারুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর থানার ধুমিহায়াতপুর এলাকার বাবর আলীর ছেলে। স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। অপহৃত ওই কর্মকর্তাকে অজ্ঞাতস্থানে আটক রেখে মারধর করে অপহরণকারীরা। তারা ভিক্টিমকে হত্যার ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ ষ্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নেয়। অপহরণের পরদিন অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে অপহৃতের স্ত্রীর কাছে ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। মুক্তিপণের টাকা দেওয়া না হলে অপহৃতকে হত্যা করার হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় অপহৃতকে উদ্ধারের সহযোগিতা চেয়ে তার স্বজনরা গাজীপুরের পোড়াবাড়িস্থ র‌্যাব-১ এর ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। বিষয়টি অবহিত হয়ে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান শুরু করে।

অপহরণের পরদিন বৃহষ্পতিবার রাতে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার আশায় অপহৃত পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাকে নিয়ে অপহরণকারীরা গাজীপুরের বাসন থানার নলজানী পালের মাঠ এলাকার ডঃ আব্দুল আওয়াল এর বাড়ীর ২য় তলার একটি রুমে অবস্থান করছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে ওই ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে দু’নারীসহ ৫ অপহরণকারীকে আটক এবং অপহৃত হারুন অর-রশিদকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারীদের কাছ থেকে ১ টি ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা, ৬টি মোবাইল ফোন, ১’শ টাকা মূল্যের ৩টি লিখিত ষ্ট্যাম্প জব্দ করা হয়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।