ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইভিএম বিষয়ক এক বিশেষ পরিপত্র জারি করে করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই পরিপত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে কারিগরি সহায়তা দেবেন সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি নিরস্ত্র সদস্য। ভোটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে না।

কিন্তু ইভিএম পরিচালনায় দায়িত্বরত নিরস্ত্র সেনা সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী সব পদক্ষেপ নিতে পারবে। এক্ষেত্রে সেনাক্যাম্প স্থাপন অথবা প্রশাসনিক সুবিধাদানকারী ডিভিশনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।

ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের দিন কেন্দ্রে অবস্থানরত কারিগরি সহায়তা দেওয়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিরস্ত্র থাকবেন। রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ক্ষেত্রমতে প্রিজাইডিং অফিসার, ভোটকেন্দ্রে অবস্থানকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও টহল কাজে নিয়োজিত পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সহায়তায় উক্ত সশস্ত্র বাহিনীর কারিগরি সদস্যদের যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর কারিগরি সদস্যরা মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন। উল্লিখিত ব্যবস্থা ছাড়াও যে কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ এবং তাদের নিরাপত্তা বিধানকল্পে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সবশেষ পন্থা হিসেবে সেনাক্যাম্প স্থাপন করে অথবা প্রশাসনিক সুবিধাদানকারী ডিভিশনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’

পরিপত্রটি দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। যার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিবকেও। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগও পরিপত্র জারি করে এমনটি বলেছিল।

প্রসঙ্গত, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিরাপত্তা বিধানে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে।

এরা ইতোমধ্যে রাজধানীতে টহল শুরু করেছেন। বাকি ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রিজার্ভ রাখা হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বিজিবি সদস্যরা ভোটের আগে ও পরে মোট চারদিন দায়িত্ব পালন করবেন। এবারের নির্বাচনে সব বাহিনী মিলে প্রায় ৫০ হাজারের মতো আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।