লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় টর্নেডোর আঘাতে অর্ধশত ঘরবাড়ি, দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়েছে। এতে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (০৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের বাদিয়া চওড়া গ্রাম এলাকায় টর্নেডো আঘাতের ঘটনাটি ঘটে।

এসময় টর্নেডোর আঘাতে বসতবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের তার ও সবজি বাগান লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে অনেকের ঘরের মুল্যবান জিনিসপত্র।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর, উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, কমলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলালসহ সরকারি কর্মকর্তাগন।

এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে চাল, ডাল, চিনি, তৈল, চিড়া, লবনসহ শুকনো খাবার হিসাবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, টনের্ডোর আঘাতে অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, সেমিপাকা ভবন, বাড়ির ঘেরা-বেড়া, দোকানপাট, গাইড ওয়াল, বিদ্যুৎতের খুঁটি, গাছপালা ভেঙে পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো খোলা আকাশের রাত্রি যাপন করছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বই খাতাসহ অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে আকাশে ঘন মেঘের দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই টর্ণেডো আঘাতে বাদিয়া চওড়া গ্রামের মুহুর্তে অর্ধশত বসতবাড়ি, গাছপালা ও সবজি বাগান লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ঝড়ে উড়ে গেছে অনেকের ঘরে মুল্যবান জিনিসপত্র।

এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনসুর উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনবাসনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনসুর উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের তালিকা করে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনওর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে গুলোর তালিকা প্রনয়ণ করে তাদের আরও সহায়তা দেয়া হবে।