শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে আজ সকালে ইউনিয়নের সারেংকান্দি এলাকায় সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর সঙ্গে তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী জলিল মাদবরের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গত ২৭ মার্চ বুধবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার সূত্র ধরে আজ বুধবার সকালে আবারও দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা ফসলি জমিতে নেমে একে অপরপকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে থাকেন। ককটেলের শব্দে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জলিল মাদবর বলেন, ‘ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা আমাদের লোকজনের ওপর হামলার প্রস্তুতি নেন। তারা আজ সকালে শাহাবুদ্দিন সারেং নামে আমার এক সমর্থকের হাত-পা ভেঙে দেন। পরে আমাদের লোকজন খবর পেয়ে তাদের প্রতিরোধ করে। তারা এক ব্যক্তির মৃত্যুর মিথ্যা গুজব রটিয়ে আমাদের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করেছেন। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী বলেন, ‘জলিল মাদবর আমাদের লোকজনকে মারার জন্য অন্য এলাকা থেকে লোক ভাড়া করে এনেছে। পরে আজ সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে। আমার এক লোক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।