যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক ‘ক ও খ’ শাখার ১৩১ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক সোমবার (৯ মার্চ) কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে যান। ঘনিষ্ঠ সব বন্ধুরা যাচ্ছে বলে বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে সে চাঁদা দিয়ে পিকনিকে যায়। দুপুরে আবির ও তার বন্ধুরা পদ্মার চরে ফুটবল খেলা শেষে নদীতে গোসলে নামে। এসময় হঠাৎই নদীতে ডুবে যায় সে। বন্ধুরা শুরুতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এরপর উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ৯টার দিকে আবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আহসান আবির নামে ওই শিক্ষার্থী যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুর গ্রামে। যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক তবিবুর রহমান জানান, সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ১৩১ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক শিক্ষাসফরে শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে আসেন। আসার আগেই শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল একা একা কোথাও যাওয়া যাবে না এবং নদীতে যাওয়া যাবে না। কিন্তু কয়েকজন নিষেধ অমান্য করে পদ্মা নদীতে চলে যায়। শিলাইদহ খেয়াঘাট থেকে নৌকায় পদ্মা নদীর ওপারের চরে গিয়ে খেলাধুলা করে। দুপুর দেড়টার দিকে ১৯ জন শিক্ষার্থী সেখানে গোসল করতে পানিতে নেমেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আহসান পানিতে ডুবে যায়। সহপাঠীরা আহসানকে খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে আবিরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ‌্যক্ষ লেফটেন‌্যান্ট কর্নেল আমিনুর রহমান। যশোর ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল হুমায়ুন কবীরসহ সামরিক কর্মকর্তারা জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে শিক্ষক ও সহপাঠীরা আবিরের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।