বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের এখন তিনটি ধরন চলছে। শুধু তাই নয়, অঞ্চলভেদে মানুষের শরীরের ক্ষমতা বুঝে এ ভাইরাস আক্রমণ করছে। এমন দাবি করছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন প্রকারের করোনাভাইরাস একে অন্যের খুব কাছাকাছি, তবে আলাদা বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

গবেষকরা গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৬০টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন। করোনার তিনটি প্রকারকে তারা এ, বি ও সি দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের মূল হলো ‘এ’। তার থেকে ‘বি’ এর উৎপত্তি হয়েছে। আর ‘সি’ হচ্ছে ‘বি’ এর সন্তান।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকরা বলেছেন, এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের যে প্রকারটি পুনরায় চীনে ছড়িয়ে পড়ছে তা মূল ভাইরাস নয়। তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ভাইরাসটি দ্রুত নিজেদের পরিবর্তন করে চলছে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের পরিবর্তিত রূপ বেশ কয়েকটি দেশে আক্রমণ করেছে।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিসিস্ট ড. পিটার ফস্টার জানিয়েছেন, কভিড-১৯ এর ফ্যামিলি ট্রি সুস্পষ্টভাবে শনাক্ত করার জন্য অনেকগুলো মিউটেশন বা অতি দ্রুত পরিবর্তিত জিনম কাঠামো রয়েছে। আমরা একটি গাণিতিক নেটওয়ার্ক অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সম্ভাব্য সব মিউটেশন ট্রিকে যুগপতভাবে সাজিয়ে দৃশ্যমান করেছি। তিনি বলেন, এই কৌশল ডিএনএর মাধ্যমে প্রাগৈতিহাসিক মানুষের রকমভেদ বুঝার ম্যাপিং হিসেবে পরিচিত। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের রুট শনাক্ত করার জন্য আমরা প্রথমবার সেই কৌশল ব্যবহার করেছি।